বাংলা হান্ট ডেস্ক: মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখে কমানো হয়েছে জিএসটির হার (GST)। তবে এই হার কমলেও এখনো ভোজ্য তেল, আটার মতো বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম খুচরো বাজারে কমার কোন লক্ষণ আপাতত ভাবে দেখা যাচ্ছে। বরং এই সমস্ত জিনিসের দাম দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এর ফলে পকেটে চাপ পড়ছে মধ্যবিত্তের ঘরে।
জিএসটি হ্রাসের প্রভাব নেই, খুচরো বাজারে দাম স্থিতিশীল (GST)
যেখানে কয়েক মাস আগেই খুচরো বাজারে চিনির দাম ছিল প্রতি কেজিতে ৪০ এর ঘরে। তা এখন বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়াও রান্নার তেলের দাম বর্তমানে চড়া রয়েছে। জানা যায় সাধারণ মানের লুজ সর্ষের তেলের দাম কেজিতে ১৬০ টাকার আশপাশে। কিছুটা ভালো মানের তেল হলে তার দাম ২০০ টাকা। অন্যদিকে সয়াবিন-রাইস ব্র্যান তেলের দাম কেজিতে ১৫০-১৫৫ টাকার আশপাশে রয়েছে (GST)।
আরও পড়ুন: পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষা সামলাতে ব্লু ও গ্রিন লাইনে রবিবার বিশেষ মেট্রো সার্ভিস
এছাড়াও পাম তেলের দাম একই রকম রয়েছে। এমনকি সূর্যমুখী তেলের দাম ১৭০ টাকার আশপাশে রয়েছে। এই বিষয়ে খুচরো বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ভোজ্য তেলের উপর জিএসটি’র হার ৫ শতাংশই রয়েছে। যার কোনও পরিবর্তন হয়নি।
এরফলে দাম আগে থেকে চড়া থাকায় একই দাম রয়েছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা জানান সর্ষের বীজের দাম বেশি থাকার জন্যই সর্ষের তেলের দাম বেশি রয়েছে। কারণ বর্তমানে সর্ষের বীজ ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন সর্ষ উঠলে কিছুটা হলেও এই তেলের (Oil) দাম কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) কৃষি স্বার্থে সর্ষের ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য বৃদ্ধি করার অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করছে ব্যবসায়ী মহল।
প্রসঙ্গত জুন মাসে আমদানি করার তেলের দাম কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি শুল্ক কুড়ি শতাংশ থেকে কমিয়ে দশ শতাংশ করেছে। যদিও এতে বাজারে কোন প্রভাব পড়েনি। এই বিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন, সূর্যমুখী ও পাম্প তেলের দাম ক্রমাগত বেড়েছে। এছাড়াও সাধারণ মানের আটার দাম অনেকদিন ধরে ৪০ টাকার ওপরে আছে। ও শোধিত চিনির উপর জিএসটির হার বেড়েছে ১২%। সেখান থেকে তা কমিয়ে করা হয়েছে ৫%। এছাড়ো পোস্তা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা বিশ্বনাথ আগারওয়াল জানিয়েছেন, ভালো মানের চিনি, পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি করেছে। সেখানে এই চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৬ টাকা (GST)।তাছাড়া পেট্রলের সঙ্গে মেশানোর জন্য ইথাইল অ্যালকোহলের চাহিদা বেড়েছে। জানা গিয়েছে, আখ থেকে ইথাইল অ্যালকোহল উৎপাদন করার উপর জোর দিতে গিয়ে চিনির জোগান কমেছে (GST)।