Ekchokho.com 🇮🇳

আমজনতার স্বস্তি, জিএসটি’তে ছাড় সাধারণ নাগরিকদের! সস্তা হতে পারে নিত্য প্রয়োজনীয় এই সব জিনিস

Published on:

Published on:

GST will be reduced on essential items a big decision for the middle class the Center said

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণ নাগরিকদের জন্য সুখবর। দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপত্রের উপর থেকে জিএসটি (GST) কমাতে চলেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন(Nirmala Sitharaman)।সূত্রের খবর, চলতি মাসে ৫৬তম বৈঠকে বসতে চলেছে জিএসটি (GST) কাউন্সিল।ওই  বৈঠকে ১২ শতাংশ জিএসটি স্ল্যাব তুলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানাযায়, জিএসটি নিয়ে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই মতোই ১২ শতাংশ জিএসটি (GST) স্ল্যাব তুলে তার পরিবর্তে পণ্য ৫ শতাংশের আওতায় নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে।

জিএসটি-তে(GST) ছাড় আমজনতাকে, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

উল্লেখ্য, জিএসটি কাউন্সিল দাবি এই সিদ্ধান্ত নিলে দাম কমবে বহু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। এর ফলে হাসি ফুটবে দেশের সাধারণ জনগণের মুখে। এই ১২ শতাংশ জিএসটি স্ল্যাব তুলে দিলে, টুথপেস্ট, টুথপাউডার, ছাতা, সেলাই মেশিন, প্রেশার কুকার, বাসন পত্র, স্বল্পক্ষমতার ওয়াশিং মেশিন, ১ হাজার টাকার বেশি দামের কাপড়, ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা মূল্যের জুতোর মতো সামগ্রীর দাম কমবে।

এর ফলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো বাড়তি চাপ বাড়বে কেন্দ্র সরকারের উপরে। যদিও, প্রাথমিক ধাক্কা সামলে এই পথেই হাঁটতে চাইছে সরকার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নির্মলা সীতারামণ এই বিষয়ে একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানান,সরকার আরও যুক্তিসম্পন্ন কাঠামো তৈরি করতে চাইছে যাতে মধ্যবিত্ত ভারতীয়রা উপকৃত হন।

GST will be reduced on essential items a big decision for the middle class the Center said

আরও পড়ুন: প্রথম প্রোমোতেই পুজোর আমেজ, চলতি মাসেই শুরু অডিশন, কবে আসছে সারেগামাপা?

তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিক ইঙ্গিত করতে দেখা গিয়েছিল নির্মলা সীতারামণকে। ২০১৭ সালের ১ জুলাই জিএসটি-র গড় হার ১৫.৮ শতাংশ ধরা হয়েছিল। আবার ২০২৩ সালে তা কমে ১১.৪ শতাংশে দাঁড়ায়। চলতি বছরের মার্চে এক অনুষ্ঠানে নির্মলা বলেন, ‘করের ধাপকে যুক্তিসঙ্গত এবং সাধারণের সুবিধার মতো করে তোলার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এই পথেই আগামী দিনে জিএসটির হার আরও কমবে।’জিএসটি কাউন্সিল ১২ শতাংশের স্ল্যাব তুলে তার অধীনে থাকা পণ্য ৫ শতাংশ স্ল্যাবের অধীনে আনলে তা বিক্রি বাড়ানোর পক্ষে সহায়ক হবে। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদে জিএসটি আদায়ও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।