বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগেকার দিনে পড়াশোনা না করলে বাবা-মা কিংবা অভিভাবককে দেখা যেত শিক্ষকদের (Teacher) বলতে আরও কঠোর হতে। কিন্তু এবার দেখা গেল অন্য চিত্র। সমাজের এহেন পতনে চারিদিকে নিন্দার ঝড়! ভাগ্নেকে শাস্তি দেওয়ায় স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে বেধড়ক (Teacher Beaten by Parents) পেটাল মামা ও তাঁর বন্ধুরা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুরের নওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। ইংরেজি ক্লাস চলাকালীন দশম শ্রেণির এক ছাত্র গোলমাল করে বলে অভিযোগ। সেই কারণে ক্লাসে উপস্থিত শিক্ষক ওই ছাত্রকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু ছাত্রটি ক্লাসের বাইরে যেতে অস্বীকার করে। তখন শিক্ষক তাকে কান ধরে ওঠবোস করতে বলেন। একটি চড়ও মারেন বলে অভিযোগ। তারপর আপাতভাবে সব কিছুই মিটে যায়।
কিন্তু এরপরই টিফিনের সময় শিক্ষকদের ঘরে ঢুকে পড়েন ওই ছাত্রের মামা-সহ চারজন। দুপুর দেড়টা নাগাদ সেখানে ঢুকেই ওই ইংরেজি শিক্ষক এবং অন্য শিক্ষকদের ব্যাপক মারধর করা হয়। গোটা ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় (CC Camera) বন্দি হয়েছে। এরপর সেটি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা বাংলা হান্ট যাচাই করেনি।
গোটা ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অভিযোগ জানানো হয়েছে শ্যামপুর থানায় (Shyampur Police Station)। ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে আছেন ছাত্রের মামা এবং মামার এক বন্ধু। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবারই ধৃতদের উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন ওই স্কুলের অন্যান্য অভিভাবক এবং প্রাক্তনীরা। নেটমাধ্যমেও এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এটা শুধু শিক্ষক নয়, গোটা শিক্ষিত সমাজের উপর হামলা। ছাত্র অন্যায় করলে শিক্ষক মহাশয় ছাত্রকে সাজা দিতে পারেন। তাই বলে তাঁকে অতর্কিতে আক্রমণ? সত্যিই শিক্ষকের হাতের বেত ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।’