বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারাধীন বন্দিদের ভোটার তালিকায় নাম যাতে বাদ না পড়ে, সেই উদ্দেশ্যে এসআইআর (SIR) সম্পর্কিত বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য কারা দপ্তর। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৬২টি জেলে মোট প্রায় ২৫ হাজার বন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে বিচারাধীন প্রত্যেক বন্দিই এবার SIR ফর্ম পূরণের সুযোগ পাচ্ছেন। পরিবার-পরিজন ফর্ম নিয়ে এলে জেল কর্তৃপক্ষকে সবরকম সাহায্য করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্দীদের পরিবারের লোকেরা এনুমারেশন ফর্ম (SIR) নিয়ে আসতে পারবেন
ইতিমধ্যেই এডিজি কারা লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা এই নির্দেশ সব সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলে পরিবাররা এসআইআর (SIR) ফর্ম নিয়ে এসে জমা করছেন বলে জানানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ থাকে। সেই দিনই তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে আসতে পারবেন। জেলের ওয়েলফেয়ার অফিসার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ফর্মপূরণে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
জেলা সংশোধনাগারের সুপারিন্টেনডেন্ট গৌতম রায় জানিয়েছেন, শনিবার এডিজি (সংশোধনী পরিষেবা) একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ পাঠিয়েছেন। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কোনও বন্দির পরিবার যদি এসআইআর (SIR) ফর্মে তার সই করাতে চান, তাহলে জেল কর্তৃপক্ষকে সেই কাজটি করিয়ে দিতে হবে। ফর্ম পূরণের পর তা জেলের কাছেই রেখে দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, ২৫ হাজার বন্দির মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে আলাদা করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে ঠিক কোন সালে তাঁরা ভারতে এসেছেন, কোনও ভারতীয় পরিচয়পত্র তাঁদের আছে কি না, বা আগে কখনও নথিভুক্ত হয়েছেন কি না। ইতিমধ্যেই এই যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
এসআইআর (SIR) ফর্ম জমা দেওয়ার আগে জেল কর্তৃপক্ষকে সব তথ্য বিস্তারিতভাবে যাচাই করতে হবে। পরিবারের সদস্যরা ফর্ম নিয়ে এলে কোন কোন তথ্য প্রয়োজন, তা জানানো হবে। সব কিছু খতিয়ে দেখার পরই বন্দিকে সই করার অনুমতি দেবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক। সই করানোর কাজ শেষে ফর্ম জেল কর্তৃপক্ষের কাছেই রাখা হবে এবং পরে তা ভোটার তালিকা সমীক্ষায় পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পরিবার ছাড়াই ভোটার তালিকায় নাম! রূপান্তরকামীদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি সিইও-র
বিচারাধীন কোনও বন্দির ভোটাধিকার না থাকলেও, তাঁর পরিচয় এবং নথিভুক্তি যাতে সঠিকভাবে সরকারি নথিতে থাকে, সেদিকেই নজর দিচ্ছে রাজ্য কারা দপ্তর। এই বিশেষ সমীক্ষায় (SIR) যোগ্য ভোটারদের নাম বাদ না পড়াই এখন প্রধান লক্ষ্য।












