বাংলাহান্ট ডেস্ক : হিন্দু মতে গরুকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়। তাই গো হত্যা হলে বা গরুর উপর অত্যাচার হলে তা মেনে নেবেন না ঈশ্বর। এই মত কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নয়, খোদ গুজরাট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, মানুষের আরামের জন্য যদি প্রাণী হত্যা করা হয় তাহলে তা অপরাধ।
দিন দিন গুজরাটের রাস্তায় বৃদ্ধি পাচ্ছে গরুর সংখ্যা। প্রসঙ্গত,গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে গরুর বয়স বৃদ্ধি পেলে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ছেড়ে দেওয়া গরুর সংখ্যাই গুজরাটের রাস্তায় বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই গরুগুলির রাস্তাতেই অনেক সময় মৃত্যু হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হচ্ছে গরুদের।
আরোও পড়ুন : খাস কলকাতায় ব্রহ্মদত্যির উৎপাত! টের পেলেন স্বয়ং মেয়র, আসল কাহিনী শুনলে আঁতকে উঠবেন
তারপর দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকে গরুর মৃতদেহ। এই ধরনের কাজ বন্ধের উদ্দেশ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয় গুজরাট হাই কোর্টে (Gujarat High Court)। বিচারপতি আশুতোষ শাস্ত্রী এবং বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের এই মামলার শুনানিতে বক্তব্য, “রাস্তা-ঘাটে গরুর মৃতদেহ পড়ে থাকা ঠিক নয়।” গুজরাটের খেড়া জেলায় রাস্তায় কিছুদিন আগে একটি গরুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আরোও পড়ুন : বাজার ছেয়েছে ভেজালে, খাঁটি খুঁজতে জেরবার আমজনতা! কী ভাবে চিনবেন জয়নগরের আসল মোয়া?
সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে আদালতের পর্যবেক্ষণ, “এইজন্য আমাদের ক্ষমা করবেন না ঈশ্বর। প্রাণীহত্যা অপরাধ মানুষের আরামের জন্য। রাস্তায় যদি তাদের দেহ পড়ে থাকে সেটি অনুচিত।” এদিন ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, “আমরা আগেই এই পর্যবেক্ষণ করেছিলাম কারণ আমাদের দেশে গরুকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়।”
প্রসঙ্গত গুজরাট হাইকোর্ট এই ধরনের পর্যবেক্ষণ আগেও করেছে। যদিও বিগত কয়েক বছরে গরুকে কেন্দ্র করে রাজনীতি আমাদের দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি প্রতিনিয়ত গো হত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক জায়গা থেকে গো হত্যা বন্ধের নামে মারধর, এমনকি খুনের অভিযোগও উঠেছে।