বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গুজরাটের সমস্ত পৌর কর্পোরেশনে বিজেপি কবজা করা পর এবার স্থানীয় নির্বাচনেও ব্যাপক সফলতা হাসিল করল গেরুয়া শিবির। ২০১৫ সালে জেলা আর তহসিল পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রদর্শন তেমন ভালো ছিল না। কিন্তু এবার গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেল সবাই। বিজেপির এই অভূতপূর্ব জয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি বলেন, জনতা সুদ সমেত ভালোবাসা ফেরত দিল। কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনেও কংগ্রেসে ফল খুবই শোচনীয়। তবে অরবিন্দ কেজরীবালের দল ভালো ফল করেছে। স্থানীয় নির্বাচনে আম আদমি পার্টি ৩৮ টি আসনে জয়লাভ করেছে।
২০২১ এর নির্বাচনের কথা বললে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বিজেপি ৩১ টি জেলা পঞ্চায়েতের ৯৮০ টি আসনের মধ্যে ৭৩৫ টি আসন জিতে সমস্ত ৩১ টি জেলা পঞ্চায়েতে কবজা করে নেয়। আরেকদিকে, ২৩১ টি তহসিল পঞ্চায়েতের ৪,৭৭৪ টি আসনের মধ্যে ৩,০১৩ টি আসনে জিতে ২৩০ টি তহসিল পঞ্চায়েতই দখল করে বিজেপি। ৮১ টি পুরসভার ২,৭২০ টি আসনের মধ্যে ১,৯৭৬ টি আসন জিতে বিজেপি ৮০ টি পুরসভায় কবজা করে নেয়।
নির্বাচনে লজ্জাজনক হারের গুজরাট কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ইস্তফা দিয়েছেন। গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি অমিত ছাওড়া হারের দায়িত্ব নিয়ে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আরেকদিকে রাজ্য সভাপতির ইস্তফার পর গুজরাট বিধানসভার বিরোধী নেতা পরেশ ধনানীও ইস্তফা দিয়েছেন। কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড এই দুই নেতার ইস্তফা স্বীকার করে নিয়েছে। মার্চের শেষের মধ্যে রাজ্য সভাপতি আর বিধানসভার বিরোধী নেতা নির্বাচিত হয়ে যাবে।
রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অমিত ছাওড়া বলেন, দলের রাজ্যসভাপতি হিসেবে আমি এই হারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিচ্ছি। দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে আমি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামী দিনে দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ময়দানে নামব আর জনসাধারণ যাতে নিজেদের অধিকার পায় তাঁর জন্য কংগ্রেসের ঝাণ্ডা নিয়ে লড়ব।