বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ মোহিত শর্মার (Mohit Sharma) ম্যাজিকাল লাস্ট ওভার। ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) ও হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) অসাধারণ ব্যাটিং, সেট হয়েও লোকেশ রাহুলের (KL Rahul) শেষ ওভার উক্তি খেলাটি টেনে নিয়ে যাবার ভুল, সব মিলিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে লখনৌ সুপারজায়ান্টসকে (LSG) হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স (Gujrat Titans)। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হাতছাড়া করে চূড়ান্ত হতাশ লোকেশ রাহুল, গৌতম গম্ভীরের দল।
আজও ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি একানা স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য উপযুক্ত ছিল না। অত্যন্ত মন্থর গতির এই পিচে প্রথম ছয় ওভারের ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৪০ রান তুলেছিল গুজরাট। তার মধ্যে ৩৪ রানই এসেছিল ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট থেকে। আবেশ খান, রবি বিশ্নইয়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই ব্যাটিং করছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত ৩৭ বলে ৪৭ রান করে ক্রুনাল পান্ডিয়ার শিকার হল ঋদ্ধি।
তার এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ৬৮ রানের পার্টনারশিপের কারণেই কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছতে পেরেছে গুজরাট। আজ অসাধারণ বোলিং করেছেন লখনৌয়ের বোলাররাও। তাদের সেরা বোলার ছিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। অপরদিকে গুজরাটের হয়ে সেরা ব্যাটার ছিলেন তার ভাই হার্দিক পান্ডিয়া। ৫০ বলে ৬৬ রান করে দলকে কিছুটা লড়াই করার মত জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন লোকেশ রাহুল এবং ক্যারিবিয়ান ওপেনার কাইল মেয়ার্স। তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো না যে পিচে কোনওরকম সমস্যা আছে। পাওয়ার প্লে-তেই তারা ৫০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করে যান। এরপর রশিদ খান মেয়ার্সকে বোল্ড করলেও ক্রুনাল পান্ডিয়া মাঠে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। রাহুল আজও দুর্দান্ত অর্ধশতরান করেন। শেষ ৬ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩১ রান।
কিন্তু এখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরতে শুরু করে। আচমকাই পর পর উইকেট হারাতে শুরু কর লখনৌ সুপারজায়ান্টস। দুর্দান্ত ও কৃপণ বোলিং করে আফগানিস্তানের নূর আহমেদ (২/১৮), ভারতের তারকা বোলার মহম্মদ শামি, ইম্প্যাক্ট সাব হিসাবে নামা জয়ন্ত যাদব গুজরাটকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। শেষ ওভারে ১২ রান বাকি থাকার সময় কামাল করে দেখান মোহিত শর্মা। পরপর দুই বলে লোকেশ রাহুল (৬৮) এবং অজি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিসকে (০) ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন তিনি। এরপর তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে পরপর রান আউট হন আয়ুশ বাদোনি ও দীপক হুডা। পর্যন্ত ৭ রানের ব্যবধানে আশ্চর্যজনক জয় তুলে নেয় গুজরাট। চোট সারিয়ে ফিরে যেন গুজরাটের হাতের তুরুপের তাস হয়ে উঠেছেন এই অভিজ্ঞ পেসার। নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট তুলে নিয়ে লিগ শীর্ষে থাকার দৌড়ে দুর্দান্তভাবে ফিরে এলো হার্দিক পান্ডিয়ার দল।