পাকিস্তানি সেনারা মুখোশ খুলে দেওয়ায়, পাকিস্তানের থেকে পালাতে বাধ্য হলেন মহিলা মানবাধিকার কর্মী!

ভারতের প্রাচীন সময় থেকে নারীদের একটা আলাদা সন্মান দেওয়া হয়। ভারতের কোনো গ্রামে দেবতার পূজো হোক বা না হোক, দেবীর পূজো হবেই। সেটা মা কালী হোক বা মা দুর্গার। ভারতে নারী সমাজকে অনেক উচ্চ জায়গা দেওয়া হয়েছে।ভারতে নারীকে নারায়ণী বলে সম্বোধন করা হয়। অবশ্য বর্তমান ভারতে কট্টরপন্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ইউরোপীয় সমাজের অনুকরণের ফলে ভারতীয় সমাজ তার চারিত্রিক গুন সামান্য হারিয়ে ফেলছে। তবে পাকিস্তানে মহিলাদের সন্মান বলে কিছু নেই। পাকিস্তানের মহিলাদের এক প্রকার বস্তু হিসেবে দেখা হয়। পাকিস্তানের সরকারও নারীদের সুরক্ষা নিয়ে সচেতন নয়। অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনা নারীদের শোষণ করতে যে কোনো সীমা অবধি যেতে পারে।

received 421971752008245

 

পাকিস্তানে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, চেতনা ইত্যাদি এখন কোনো কাজের নয়। যে মহিলারা পাকিস্তানে আওয়াজ তোলার চেষ্টা করে তাদেরও দমন করে দেওয়া হয়। গুলালাই ইসমাইল নামের এক মহিলা মানবাধিকার কর্মী পাকিস্তানের নারীদের হয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন। কিন্তু উনার উপর পাকিস্তানের সেনা মিথ্যা দেশদ্রোহী মামলা চাপিয়ে দেয়। এরপর বহুদিন ধরে মহিলা নিখোঁজ ছিলেন। এখন ওই মহিলার খোঁজ পাওয়া গেছে। আসলে গুলালাই ইসমাইল আমেরিকা চলে এসেছেন। পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে বাঁচতে উনি আমেরিকা চলে এসেছেন। ইনি বহুবার পাকিস্তানে সেনার পোল খুলে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান সেনার নোংরামির কথা তুলে ধরতেন। বেলুচিস্তানের মহিলাদের সাথে পাকিস্তানি সেনা কি করে সেটাও উনি প্রমান সহ তুলে ধরতেন।

received 650061115516657

 

 

গুলালাই ইসমাইল, নিউওয়র্ক টাইমস কে সাক্ষাতকরে বলেন, যে উনি পাকিস্তানে সুরক্ষিত ছিলেন না। তাই উনি পাকিস্তান ছেড়ে আমেরিকা পালিয়ে এসেছেন। পাকিস্তানে উনার প্রাণ বিপদে পড়বে বলে জানিয়েছেন। পাকিস্তান সরকার গুলালাই এর বিদেশ যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা লাগিয়ে ছিল। তবে  উনি কোনো ক্রমে পালিয়ে এসেছেন। গুলালাই বলেন যদি পালিয়ে আসা সংক্রান্ত বেশি কিছু তথ্য উনি ফাঁস করেন তবে পাকিস্তানে থাকা উনার সাথীরা সমস্যায় পড়তে পারে। গতমাসে উনি আমেরিকা এসেছেন এবং এখানে মানবাধিকারদের কাছে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছেন।

 

কোনোক্রমে আমেরিকা পৌঁছে উনি জানিয়েছেন যে পাকিস্তান সেনা নারীদের ধর্ষণ করে বা সন্মান লুন্ঠন করে। গুলালাই আমেরিকার কাছে শরণ চেয়েছেন। ইসমাইল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেশ কয়েকটি মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি পশতুনের বিক্ষোভেও অংশ নিয়েছিলেন, যা পাক সেনা দমনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। এর পরে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ মামলা করে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে বদনাম করার অভিযোগ তোলে।

সম্পর্কিত খবর