বাংলাহান্ট ডেস্ক: গুরগাঁওয়ের তরুণী যশিকা অরোরা আজ সফল (Success Story) উদ্যোক্তার নাম। অথচ একসময়ে তিনি কখনও ভাবেননি যে ব্যবসায় নামবেন। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) ডিজাইনের পড়াশোনা করে পুণেতে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর চাকরি করার পর বুঝতে পারেন, এ কাজ তাঁর পছন্দ নয়। এরপরই দিল্লিতে ফিরে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে ভাগ্যের লেখা ছিল আলাদা। জীবনে আসল বাঁক আসে তাঁর পোষ্য কুকুর ‘ক্রিস্টো’-র হাত ধরে। সেই ক্রিস্টোকে নিয়েই যশিকার জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হয়, জন্ম নেয় এক অভিনব ব্র্যান্ড— ‘প’ পেটিসেরি’।
পোষ্যর হাত ধরে যশিকার টার্নওভার (Success Story)
বেকিং-এর প্রতি যশিকার ঝোঁক ছিল ছোটবেলা থেকেই। ক্রিস্টোর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে তিনি বাড়িতেই তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার বানানো শুরু করেন। এখান থেকেই জন্ম নেয় পেট বেকারির ব্যবসার ভাবনা। ২০১৭ সালে মাত্র ২ লাখ টাকা মূলধন নিয়ে শুরু হয় যশিকার উদ্যোগ। তাঁর লক্ষ্য ছিল এমন বেকারি পণ্য তৈরি করা, যেগুলো সাধারণ কেক বা কাপকেকের মতো দেখতে হলেও পোষ্য প্রাণীদের জন্য একেবারেই নিরাপদ হবে। তাই তিনি কৃত্রিম রং বা কেমিক্যাল ব্যবহার না করে ফল ও সবজি থেকে স্বাভাবিক রঙ তৈরি করতেন। ধীরে ধীরে কুকুর-বিড়ালের জন্য কেক, কাপকেক, ডোনাট, ব্রেড থেকে শুরু করে আইসক্রিম— নানা রকম খাবার বানাতে শুরু করেন। ভেজ এবং নন-ভেজ দুই ধরনের বিকল্পই মেনুতে পাওয়া যায় (Success Story)।
আরও পড়ুন:Flipkart-এ ডিসকাউন্টের ছড়াছড়ি! ১০,০০০ থেকে ৩০,০০০-এর মধ্যে কোন মোবাইলগুলি সেরা? জানুন
প্রথম দিকে যশিকার সবচেয়ে বড় ভরসা ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। অনলাইনে প্রচারের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছনোই ছিল তাঁর প্রধান মার্কেটিং কৌশল। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রদর্শনী ও ইভেন্টে অংশ নিয়ে তিনি ‘প’ পেটিসেরি’কে পরিচিত করে তোলেন। আজ তাঁর তৈরি পণ্য সহজেই কেনা যায় ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট কিংবা সুইগি মিনি-র মতো ফুড ডেলিভারি অ্যাপে। খুব শীঘ্রই তিনি দিল্লি ও আশপাশে ফিজিক্যাল স্টোর খোলার পরিকল্পনাও করেছেন (Success Story)।
মাত্র ২ লাখ টাকা দিয়ে শুরু হওয়া এই উদ্যোগ বর্তমানে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার টার্নওভার করছে। ইতিমধ্যেই ‘প’ পেটিসেরি’ একাধিক সম্মাননা অর্জন করেছে— যেমন ‘পেট ফেড’, ‘আপকামিং বেকার অ্যান্ড শেফ’-এর মতো স্বীকৃতি। ব্যবসার এই সাফল্যে যশিকার পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর পরিবারও (Success Story)।
আরও পড়ুন:একী কাণ্ড পাকিস্তানে! নিজের দেশেই পাক সেনার বিমানহানা, মর্মান্তিক মৃত্যু ৩০ জনের
যশিকা অরোরার যাত্রাপথ আজ বহু তরুণ-তরুণীর কাছে প্রেরণার উৎস। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ়তা থাকলে শখ থেকেও সফল ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব। তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার গ্রাহকদের ভালবাসা ও বিশ্বাস, যা তাঁকে প্রতিদিন নতুন করে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করছে (Success Story)।