বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার দুপুরে হাবরা হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন হাবরার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। হাসপাতালে পৌঁছেই বিধায়কের সামনে একে একে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন রোগীর পরিজনেরা। এই ঘটনায় কার্যত বুধবার দুপুরে হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
হাবরা হাসপাতাল ঘিরে অভিযোগের পাহাড়
বুধবার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) হাসপাতালে পৌঁছতেই তাকে ঘিরে ধরে রোগীর পরিজনেরা। কারও অভিযোগ, ওয়েটিং রুমে ফ্যান নেই। কারও আবার অভিযোগ, শৌচালয়ে যেতে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এমনকি বিকেলের পর বাথরুম বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর সঙ্গে আসা আত্মীয়দের।
একের পর এক অভিযোগের পাহাড়ে হাসপাতাল চত্বরে মুহূর্তের মধ্যেই উত্তপ্তকর পরিস্থিতি তৈরি হয় । বিধায়কের (Jyotipriya Mallick) উপস্থিতিতেই ক্ষোভ উগরে দেন রোগীদের পরিবার। তাঁরা জানান, বারবার অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। হাসপাতালের প্রশাসন উদাসীন। রোগীরা তীব্র গরমে কষ্ট পাচ্ছেন, শৌচালয়ের সামনে প্রতিদিনই অপমানের শিকার হতে হয় অনেককে।
পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)
পরিস্থিতি বুঝেই দ্রুত পদক্ষেপ নেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। হাসপাতালের সুপার, হাবরা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং পুরসভার চেয়ারম্যানকে তিনি সোজাসুজি নির্দেশ দেন যে, রাতের মধ্যেই হাসপাতালে বসার জায়গায় ফ্যান বসাতে হবে এবং বাথরুম কখনোই বন্ধ করা যাবে না। এছাড়া কারও কাছ থেকে শৌচালয় ব্যবহারের জন্য টাকা নেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এরপরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের জন্য কাজ করছেন। আমাদের লক্ষ্য, কেউ যেন সমস্যায় না পড়ে। তাই আমরা নিয়মিত হাসপাতালে পরিদর্শনে যাব, যাতে মানুষের দুর্ভোগ কমে।”
বিধায়কের (Jyotipriya Mallick) দ্রুত পদক্ষেপে খুশি রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। ওই ঘটনার স্থলে উপস্থিত একজন বলেছেন, “অনেকদিন ধরে অভিযোগ জানিয়েও কিছু হয়নি। আজ বিধায়কের সামনে বলতেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা হল। এতে আমরা স্বস্তি পেলাম।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিধায়কের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রাতের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে।