বাংলা হান্ট ডেস্ক: ডিম শুধুমাত্র যে শরীরের জন্য উপকারিতা কিন্তু নয়। এটি শরীরের পাশাপাশি চুলের জন্য ভীষণ উপকারী (Hair Care)। কারণ ডিম চুলে মাখলে পরে চুল একদিকে যেমন সাইনি হয়। পাশাপাশি নরমও হয়। কারণ ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। তাই ডিম কেরাটিনে ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। ছাড়া চুলের রেশম ভাব নিয়ে আসতে হলে ব্যবহার করতে পারেন ডিম (Egg)।
চুল ঝলমলে করতে ডিম দারুন, তবে সাদা না কুসুম—কোনটা সেরা (Hair Care)
তবে বহু মানুষই চুলের জন্য ডিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আদতে কোন অংশটি চুলের জন্য ভালো সে বিষয়ে সঠিক কেউ জানেন না। অনেক সময় সাদা অংশ ব্যবহার করলে পরে হেয়ার ফিলিং এর মতই সমস্যা দেখা দেওয়া যায়। আবার মাথায় অনেকের ডিমের কুসুম মাখতে বলেন। কিন্তু এই বিষয়ে কেশ বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন জানুন (Hair Care)।

আরও পড়ুন: একঘেয়ে তরকারি নয়, গোলমরিচে মাখা মরিচ কপিতে মুগ্ধ হবেন অতিথিরাও, রইল রেসিপি
বিউটিশিয়ানদের মতে, ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন ও বিভিন্ন রকমের ভিটামিন থাকে। যা চুলের গোড়া মজবুত করতেও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অপরদিকে মাথার ত্বক পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে এই ডিমের সাদা অংশটি। কারণ এর মধ্যে কোলাজের নামক প্রোটিন থাকে। কোলাজেন চুল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
অপরদিকে ভিটামিন এ, ডি, বি৬, থিয়ামিন, ফোলেট এগুলো সবকিছু মিলে কুসুমের মধ্যে। তাই এর মধ্যে বায়োটিন ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। বায়োটিন চুল ঝরা বা চুল পাতলা থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও মাথার ত্বকে সেবাম উৎপাদনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে ডিমের সাদা অংশে তুলনায় যেহেতু কুসুমের মধ্যে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। তাই মাথায় মাখার জন্য চুলের বৃদ্ধির জন্য কুসুমকেই এগিয়ে রাখে কেশ বিশেষজ্ঞরা। তবে চুলের যত্নের ডিমের সাদা অংশটি একেবারেই বাদ দেওয়া যাবে না। বরং গোটা ডিম মাখলে আপনি ভালো উপকার পাবেন (Hair Care)।













