বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায় (Pratyusha Banerjee) ওরফে ছোট পর্দায় দর্শকদের প্রিয় আনন্দী। সাল ২০১৬ সালের ১ এপ্রিলে তার নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় মরদেহ। তাঁর মৃত্যুতে অভিযোগের অঙুল উঠেছিল তৎকালীন প্রেমিক রাহুল রাজ সিংয়ের (Rahul Raj Singh) উপর। আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলাও করা হয় তার বিরুদ্ধে। আর এবার সেই মামলার শুনানি শোনালো মুম্বইয়ের আদালত।
সূত্রের খবর, আদালতও নাকি প্রেমিক রাহুল সিং-এর দিকেই আঙুল তুলেছে। জানা যাচ্ছে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই নাকি আত্মহত্যার কথা ভাবতে বাধ্য হন প্রত্যুষা। এইদিন প্রত্যুষার মৃত্যু মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিক রাহুলের মুক্তির আবেদন খারিজ করার সময় এই রায় দিয়েছে আদালত।
গত বুধবারই মুম্বাই আদালত জানিয়েছে, প্রেমিক রাহুল সিং প্রত্যুষাকে শারীরিক, মানসিকভাবে হেনস্থা করতেন এবং রাহুলের জন্যই আর্থিক হয়রানিরও শিকার হয়েছিলেন প্রত্যুষা। আর এইসব ঘটনার কারণেই দিনে দিনে ডিপ্রেশনের দিকে এগিয়ে যায় প্রত্যুষা। আর এই রায় দিয়েছে মুম্বইয়ের দিন্দোশি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ সমীর আনসারি।
আরও পড়ুন : সানির হাতুড়ির জবাব ডান্ডা ও বেল্ট দিয়ে! উত্তেজনার পারদ চড়াল ‘জওয়ান’র ট্রেলার
তিনি গত ১৪ অগাস্ট রাহুল সিং-র মুক্তির আবেদন খারিজ করেছিলেন। এরপর গত বুধবার সমস্ত কারণ বর্ননা করা হয়েছে কোর্টের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের গুরগাঁও-এ তাঁর নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় মরদেহ। এরপর প্রত্যুষার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রেমিক রাহুল সিংয়ের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : অনুরাগের ছোঁয়ার দিন শেষ সবাইকে চমকে সেরার সেরা জি বাংলার এই মেগা, নতুন TRP তে বড় চমক
সূত্রের খবর, আইপিসির ধারা ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) সহ একাধিক ধারায় মামলা করেন প্রত্যুষার মা। এই বিষয়ে প্রত্যুষার মায়ের সহযোগিতা করেছিলেন তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিকাশ গুপ্তা ও কাম্যা পাঞ্জাবি। তদন্ত সূত্রে আরও জানা গেছিল, মৃত্যুর আগে রাহুলকে শেষবারের জন্য ফোন করেছিলেন প্রত্যুষা।