বাংলা হান্ট ডেস্ক: কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জার (Hardeep Singh Nijjar) হত্যার পর ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে কানাডা (Canada)। যদিও এর পক্ষে প্রমাণ পেশ করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে, হত্যার ঘটনার অস্বীকার করেছে ভারত।
কিন্তু কে এই হরদীপ? ১৯৭৭ সালের ১০ নভেম্বর জলন্ধরে জন্মগ্রহণ করে নিজ্জার। এরপর ১৯৯৬ সালে ভুয়ো পাসপোর্ট বানিয়ে পাঞ্জাব (Punjab) থেকে কানাডায় পালিয়ে যায় সে। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন মাদক ও চোরাচালানের কাজে লিপ্ত হয়। সন্ত্রাসী কার্যকলাপেও ধীরে ধীরে হাতে খড়ি দেয় নিজ্জার। জানা যায়, ২০১২ সালে সন্ত্রাসবাদী জগতার সিং তারার সংস্পর্শে আসে এবং পাকিস্তানে (Pakistan) জগতার সিংয়ের সাহায্যে অস্ত্র এবং আইইডি বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ নেয়। তবে তা নিয়ে লাভ হয়নি! ভিসা না মেলায় ভারতে জঙ্গি হামলার ছক ভেস্তে যায়। পাঞ্জাবে ২০০টিরও বেশি খুনের সঙ্গে জড়িত থাকা গুরদীপ সিংয়ের সহযোগী ছিল এই নিজ্জার।
তারপর থেকে বরাবরই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই হরদীপের। ৪ সদস্যের সমন্বয়ে একটি কেটিএফ মডিউলও স্থাপন করেছিল এই হরদীপ। যার মাধ্যমে কোনও মানুষকে লক্ষ্য করে মারা যায়। অন্যদিকে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে মোগার এসপি হরমনবীর সিং গিল এবং ২ পুলিশ আধিকারিককে টার্গেট করেছিল। সেই কারণে নিজ্জারকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। মোহালির এনআইএ কোর্টে এই নিয়ে মামলাও দায়ের হয়েছিল।
কানাডায় থাকার সময় অস্ত্র এবং জিপিএস ডিভাইসের প্রশিক্ষণের জন্য আরও এক সন্ত্রাসীকে (Terrorist) পাকিস্তানেও পাঠিয়েছিল এই হরদীপ। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ২০১৪ সালে জগতার তারাকে ১০ লক্ষ টাকাও পাঠিয়েছিল সে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে কানাডায় খুন হয় এই হরদীপ সিং নিজ্জার। খলিস্তানি কর্মকাণ্ডে সরাসরি যোগ ছিল তার। এই নিয়েই ভারত সরকারকে দোষারোপ করেছে কানাডা। হরদীপের মৃত্যুর পিছনে ভারত সরকারের হাত রয়েছে বলে দাবি ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর (Justin Trudeau)।