বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিলই। এবার তা সত্যি হলো। গুজরাটের পাতিদার সম্প্রদায়ের নেতা হার্দিক প্যাটেল আজ গান্ধীনগরে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করলেন।
আজ সকালেই হার্দিক ট্যুইটারে লেখেন, ‘জাতীয় স্বার্থ, রাষ্ট্রের স্বার্থ, জনস্বার্থ ও সামাজিক স্বার্থের অনুভূতি নিয়ে আজ থেকে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছি। ভারতের সফল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র ভাই মোদির নেতৃত্বে। জাতির সেবার মহৎ কাজে আমি একজন ক্ষুদ্র সৈনিক হিসেবে কাজ করব।’ নিজের প্রাক্তন দল কংগ্রেসকেই তুলোধনা করে দিন কয়েক আগেই দল ছেড়েছিলেন গুজরাটের এই তরুণ পাতিদার নেতা। তাঁর মুখে একাধিকবার শোনা গিয়েছিল বিজেপি-র বন্দনা। কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল, যিনি তিন বছর ধরে তার দল দ্বারা উপেক্ষিত হওয়ার অভিযোগ করে এসেছেন, তিনি গুজরাত নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিজেপির প্রশংসা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল রাজনীতিতে। আজ সেই হার্দিকই যোগ দিলেন বিজেপি-তে।
Hardik Patel who recently quit Congress joins BJP in Gandhinagar, Gujarat pic.twitter.com/JT6UtIPPJg
— ANI (@ANI) June 2, 2022
কয়েক দিন আগে হার্দিক বলেন, ‘বিজেপি রাজনৈতিকভাবে সাম্প্রতিক যে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে, আমাদের মেনে নিতেই হবে যে তাদের এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তাদের পক্ষ না নিয়ে বা তাদের প্রশংসা না করেও আমরা অন্তত সত্যটি স্বীকার করতে পারি। যদিও কংগ্রেস গুজরাতে প্রবল শক্তিশালী, তারপরেও আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আরও স্বাধীন করতে হবে।’
কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট হার্দিককে বেশ কিছু মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট রায় অনুসারে এবার থেকে হার্দিক নির্বাচনে লড়াই করতেও পারবেন। আর তার ঠিক পরেই BJP-র দিকে ঝুঁকলেন এই তরুণ নেতা। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই মোদী-শাহের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছিল এই লড়াইয়ের ময়দানে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করবেন হার্দিক।
এই প্রসঙ্গে বলা যায়, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন গুজরাটের পাতিদার নেতা হার্দিক। তাঁকে গুজরাট কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতিও করা হয়েছিল একটা সময়। কিন্তু সম্প্রতি বেসুরো হয়েছিলেন তিনি। হার্দিকের অভিযোগে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব ফের একবার প্রকাশ্যে চলে আসে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তাঁর সঙ্গে পরামর্শ না করেই নেওয়া হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘দলে আমার অবস্থা অনেকটা সেই নতুন বরের মতো, যাকে জোর করে নাসবন্দি করানো হয়েছে।’ কংগ্রেসকে তোপ দাগার পাশাপাশি তাঁর কণ্ঠে মোদী স্তুতিও শোনা গিয়েছিল বারবার। তখন থেকেই তাঁর ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্মে’ যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয় বলে জানা যাচ্ছে। আর আজ গান্ধীনগরে সেই সম্ভাবনার উপরই পড়ে গেল শিলমোহর।