দেশজুড়ে মন্দা-বেকারত্বের বাজার। এরই মধ্যে এক অনন্য বিল এনে হাজির হরিয়ানার বিজেপি-জেজেপি সরকার। বেসরকারি সংস্থায় স্থানীয়দের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষনের কথা বলা হয়েছে এই বলে। মঙ্গলবার হরিয়ানার রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্য সেই বিলে সইও করে দিয়েছেন। এমনটাই জানালেন হরিয়ানার উপ মুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে হরিয়ানা স্টেট এমপ্লয়মেন্ট অব লোকাল ক্যান্ডিডেট বিল-২০২০ পাশ হয়। সেই বিলের অধীনে ৫০,০০০ হাজারের নীচে মাইনে যুক্ত বেসরকারি সেক্টরে চাকরির জন্য স্থানীয়দের ৭৫ শতাংশ সংরক্ষনের কথা বলা হয়েছিল। এবার তা বাস্তবায়ন হওয়ায় পথে।
এই বিলে আরও বলা হয়েছে যে, সংস্থাটি যে জেলায় অবস্থিত , সেই জেলার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করতে হবে। বাকি কোটা রাজ্যের অন্যান্য জেলার মাধ্যমে পূরণ করা যাবে। এই বিলের আওয়াত পড়ছে বেসরকারি সংস্থা, সংগঠন ও ট্রাস্ট।
অন্যদিকে এই বিলের মাধ্যমে চাকরি সন্ধানকারীদের হরিয়ানার বাসিন্দা হতে হবে অথবা নূন্যতম ১৫ বছর এই রাজ্যে থাকতে হবে। এই স্থানীয় সংরক্ষণ বিল ছিল শাষক জোটের শরিক জননায়ক জনতা পার্টির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।
অন্যদিকে এই বিল নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। এমনকি সেই সমলাচনার মাত্রা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়ে কেউ কেউ এমনটা বলছেন যে, হরিয়ানা সরকার এটা চায় যে, সব বেসরকারী সংস্থা যেন ভিয়েতনাম, চীন, বাংলাদেশ চলে যায়। এছাড়াও এই বিলকে বিজেপি সরকারের কাছে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি।
উল্লেখ্য, এমনই একটি ঘোষণা ২০২০ সালে কর্ণাটক সরকার করেছিল। তবে আদতে তার বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে JJP নেতা দুষ্মন্ত চৌতালা জানিয়েছেন যে, আজ কমবয়সীদের আনন্দের দিন।