বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পূর্বে বেশ বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। হরিয়ানায় (Haryana) বিজেপির (BJP) অস্তিত্ব নিয়েই শুরু হয়েছে সংশয়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই ইস্তফা দিলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (CM Monohar Lal Khattar)। ভোটের মুখে বড়সড় সমস্যায় কেন্দ্রীয় বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যটিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে কী না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, হরিয়ানায় ভারতীয় জনতা পার্টি এবং জন নায়ক জনতা পার্টির মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয় বিরোধ। একদিকে বিজেপি যেখানে একটির বেশি সিট ছাড়তে নারাজ অন্যদিকে জেজেপির দাবি তিনটি আসন। এই বিষয়ে জেজেপি প্রধান তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা গতকাল বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকও করেন। যদিও সমাধান মেলেনি বলেই খবর।
আর এবার খবর, আজকেই একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠকে নির্দল বিধায়কদেরও ডাকা হয়েছিল বলে খবর। নির্দলদের সমর্থনে সরকার টেকানো সম্ভব না হলে খট্টর পদত্যাগ করতে পারেন এমন গুজব শোনা যাচ্ছিল। আর এবার সেটাই সত্যি হল। সূত্রের খবর, বিধায়ক দলের বৈঠকে নতুন নেতা নির্বাচন করা হতে পারে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার কিছু মুখ বদল করা হবে। নতুন মন্ত্রিসভায় স্বতন্ত্রদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপীর পর আরও এক মসজিদ! সমীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের, কোমর বাঁধল ASI
এদিকে, সিরসার বিধায়ক এবং হরিয়ানা লোকহিত পার্টির সভাপতি গোপাল কান্ডের কথায়, জোট (বিজেপি-জেজেপি) প্রায় ভেঙে গেছে। লোকসভা নির্বাচনে ১০ টি আসনের সবকটিতেই জিতবে বিজেপি। জেজেপি ছাড়াও জিতবে হরিয়ানা সরকার। হরিয়ানার স্বতন্ত্র বিধায়ক নয়ন পাল রাওয়াত বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লালের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আমাদের সমর্থন দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লালের সঙ্গে বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন : সরকারি কর্মচারীকে হেনস্থার অভিযোগ, অশ্লীল ভাষায় গালাগালি! ফের বিতর্কে রূপঙ্কর, ফাঁস ভিডিও
অন্যদিকে নীলোখেরির স্বতন্ত্র বিধায়ক ধরমপাল গোন্ডার জানিয়েছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বিজেপিকে সমর্থন করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আমরা নির্বাচনী এলাকার কাজ নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে জোট নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করিনি।’ এখানে বলে রাখা ভালো, হরিয়ানায় এই মতবিরোধ শুরু হয় কৃষক আন্দোলনের সময় থেকেই। কৃষক আন্দোলন নিয়ে হরিয়ানা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তুলেছে শরিক দল জেজেপি।