বিলেও কারচুপি! ভোটের মাঝেই বাড়ল বিদ্যুতের দাম? ইউনিট প্রতি কত হল? মধ্যবিত্তের মাথায় হাত

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের জীবন একপ্রকার অচল। লাইট, ফ্যান থেকে শুরু করে এসি, ফ্রিজ, সবকিছু চালাতেই দরকার হয় বিদ্যুতের। আর গরম এলে তো এর ব্যবহারের পরিমাণও একলাফে বেড়ে যায়। যে কারণে বেশিরভাগ বাড়িতেই আসে মোটা টাকা বিদ্যুতের বিল (Electric Bill)। তবে এবার সামনে এল একটি বড় খবর। জানা গেল, ভোটের আগে ইউনিট প্রতি চার্জে বদল এনেছে WBSEDCL!

সম্প্রতি একজন নেটাগরিক নিজের বিদ্যুতের বিলের ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে লেখেন, ‘ভোটের আগে WBSEDCL-এর নতুন উপহার। নতুন ইউনিট প্রতি চার্জ ৯ টাকা ২২ পয়সা। যেটা আগে ছিল ২৮৯ ইউনিটের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীদের চার্জ। এখন থেকে ১১৮ ইউনিটের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীদের চার্জ হয়ে দাঁড়ালো ৯ টাকা ২২ পয়সা’।

ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এই পোস্ট। বহু নেটিজেন এই পোস্টে কমেন্ট করে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। একজন যেমন লিখেছেন, ‘WBSEDCL টারিফ বুঝতেই পারছি না। বিভিন্ন জনের বিলে বিভিন্ন লেখা। এখানেও কি কারচুপি ও চুরির গল্প!’ আরেকজন আবার এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ BJP জিতলে বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শুভেন্দু? নাকি অন্য কেউ? জানালেন দিলীপ ঘোষ

তৃতীয় নেটাগরিক এই পোস্টের বিরোধিতা করে লিখেছেন, ‘কেন না বুঝে ভুলভাল পোস্ট ছড়াচ্ছেন সত্যিই বোঝা যাচ্ছে না। প্রত্যেক অর্থবর্ষে নতুন টারিফ রেট চার্জ রিভাইস করে আপডেট করা হয়, তাতে সব সেকশনের টারিফ রেট বাড়ে এমনটা নয়। এই বছরও ১ এপ্রিল নতুন রিভাইসড টারিফ রেট পাবলিশ হয়েছে। এই বিলটা ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিল মাসের ২৬ দিনের সম্পূর্ণ প্রায় ৮৬ দিনের বিল। যার মধ্যে ৬০ দিন পড়েছে পুরনো টারিফে (মোটামুটি ৭২ ইউনিট) এবং বাকি ৩০ ইউনিট পড়েছে নতুন টারিফে। টারিফ রেটে কোনও বদল আসেনি। দয়া করে ঠিকভাবে না বুঝে না জেনে ভুল তথ্য শেয়ার করে সাধারণ মানুষকে অহেতুক বিভ্রান্ত করবেন না। আর তাড়িফ রেট চার্ট WBSEDCL-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের কনজিউমার কর্নার সেকশনে দেওয়া রয়েছে, নিজেরাও দেখে নিন’।

WBSEDCL tariff charge change

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদ্যুৎ বাঁচানোর টিপস দেওয়ার পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, ‘যত্রতত্র বিদ্যুৎ, দলের অপচয় করবেন না। মনে রাখবেন, অপচয় করতে থাকলে কিন্তু সঞ্চিত ভাণ্ডার একদিন ফুরিয়ে যাবে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর