বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বড় স্বস্তি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। বিতর্কিত টুইট মামলায় (Tweet Case) শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের (Child Right Commission) নোটিসে অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কাল এই মামলার শুনানির পর আজ শুক্রবার বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে শুভেন্দু মামলার রায়দান ছিল। তাতেই আদালতের রায়ে স্বস্তিতে শিশির পুত্র।
প্রসঙ্গত, গত বছর শুভেন্দুর করা ট্যুইটের প্রেক্ষিতেই এই মামলার সূত্রপাত। নভেম্বরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জায়গা ডায়মন্ড হারবার এফসি ফুলবল ক্লাবের প্রিমিয়ার ডিভিশনে ওঠার সাফল্য উদযাপনে আলিপুরের পাঁচতারা হোটেলে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানকেই নাম না নিয়ে অভিষেকের ছেলের জন্মদিনের পার্টি’ বলে দাবি করে এক বিতর্কিত টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এরপর এই ঘটনায় শিল্পা দাস নামে এক মহিলা শিশুর অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে দাবি করে কমিশনে অভিযোগ জানান। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এর ভিত্তিতে তাঁকে ৩ বার শোকজের নোটিস পাঠায় পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। এই নোটিস খারিজের জন্য আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিশির পুত্র। এই মামলারই শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে।
গতকাল, বিচারপতি ভট্টাচার্যের প্রশ্ন করেন , “যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর সঙ্গে এই ট্যুইটের কী সম্পর্ক রয়েছে? তাঁর কি কোনও ক্ষতি বা স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে?” এরপর কমিশনের আইনজীবী জানান, “অভিযোগকারিণী একজন মা। বিরোধী দলনেতার ওই মন্তব্য শিশু অধিকার লঙ্ঘন করে! একটি শিশুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করার অভিযোগ রয়েছে।”
ফের কমিশনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, ” অভিযোগ যদি সত্যিও হয়, তা হলে মামলকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কোনও ক্ষমতা আপনাদের রয়েছে?” এরপর মানলায় অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে বলে হলফনামা দিয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চান কমিশনের আইনজীবী। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতার আইনজীবী আদালতে বলেন, “কমিশনকে কোনও কাজ করতে দেখা যায় না। যখন বড় রাজনৈতিক ঘটনা ঘটে এবং শিশুদের অধিকার নষ্ট হয়।” তাঁর প্রশ্ন, কারও নাম না বললে কীভাবে কমিশন অভিযোগ নিতে পারে?
এদিন দু’পক্ষের সমস্ত বক্তব্য শোনার পর শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের নোটিসে স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ সপ্তাহ পরে। অর্থাৎ আদালতের রায়ে আপাতত কিছুটা স্বস্তিতেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।