বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত লাল চকের ঘণ্টাঘরে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গর্বের সঙ্গে প্রথমবার ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই সময় গোটা এলাকায় আঁটসাঁট নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি দেশে ঘন্টাঘরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ১৯৪৮ সালে এই স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। জায়গাটি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান (সদর-ই-রিয়াসাত) শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং প্রধানমন্ত্রী জওহরলালের চুক্তিরও সাক্ষী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অনেক মঞ্চ থেকে বলেছিলেন যে, সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন লাল চকে গর্বের সাথে তেরঙ্গা উত্তোলন করতে দেখা যাবে।
১৯৮৯ সালে কাশ্মীরে যখন সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল, তখন এই জায়গায় বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লাল চক মিছিলের ডাকে প্রশাসন সেটি সিল করে দিত। ২০১৮ সালে অমরনাথের জমি বিবাদে ঘন্টাঘরে বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হয়েছিল। তাঁদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক। সে সময় সেখানে অন্য একটি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার 370 ধারা বাতিল করলে প্রশাসন বিচ্ছিন্নতাবাদী-সন্ত্রাসবাদী এবং পাকিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে কঠোর হয়ে ওঠে। JKLF প্রধান ইয়াসিন মালিক সহ অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাঁদের জেলে পাঠানো হয়।
এছাড়া হুররিয়াত সভাপতি মিরওয়াইজ উমর ফারুককেও গৃহবন্দী করা হয়। পাথর ছোঁড়া এবং যারা সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এরপর গোটা উপত্যকার পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
Jammu & Kashmir: The tricolour unfurled at Lal Chowk in Srinagar. #RepublicDay pic.twitter.com/LbPvt99hhQ
— ANI (@ANI) January 26, 2022
প্রজাতন্ত্র দিবসে বিপুল সংখ্যক মানুষ তেরঙ্গা হাতে লাল চকে পৌঁছেছিল। তাঁরা জানায়, এটি নতুন কাশ্মীরের সূচনা। এই ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেওয়া সামাজিক কর্মী সাজ্জাদ ইউসুফ শাহ এবং সাহিল বশির ভাট বলেছেন যে, এটি নতুন কাশ্মীরের আভাস। এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে। দুই যুবকই প্রশাসনের কাছে এমন উদ্যোগের অনুমতি চেয়েছিলেন। এরপর এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউসুফ বলেছিলেন যে লাল চকে তেরঙ্গা উত্তোলন করা একটি স্বপ্ন পূরণ।