বাংলা হান্ট ডেস্ক: কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া মানে ঘি অথবা মাখন জাতীয় খাবার ছেড়ে দিতে বলেন চিকিৎসকেরা। কারণ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে শরীরে নানান ধরনের রোগের সৃষ্টি হয় (Health)। তবে বর্তমান দিনে মানুষ পাউরুটিতে এই কোলেস্টেরলের ভয় বাটারের পরিবর্তে পিনাট বাটার খাওয়ার শুরু করেছে। কিন্তু এটা আদৌ কি কোন উপকার মেলে? এই বিষয়ে চিকিৎসকরা কি বলছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পিনাট বাটার খেলে কোলেস্টেরল কমে? (Health)
চিকিৎসকদের মতে দুধের তৈরি মাখনের মতো পিনার বাটার কোলেস্টেরল বাড়ায় না। বরং পিনাট বাটার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যা, কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় (Health)। এছাড়াও পিনাট বাটারের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: বাঁধাকপি খেতে মন চায় না? এই ভর্তা খেলে বদলে যাবে ধারণা, প্রণালী রইল
এর পাশাপাশি পিনাট বাটার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। এর ফলে পেশির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। স্নায়ু শিথিল রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। তাছাড়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পিনাট বাটারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পিনাট বাটার চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও ভিটামিন ই দৃষ্টিশক্তি কম থাকলে তার অভাব কমাতে সাহায্য করে।
তবে ডায়াবিটিসের রোগীরা ঘি, মাখন এড়িয়ে চলে। এর পাশাপাশি এড়িয়ে চলেন ক্যালরিযুক্ত খাবার। তবে পিনার বাটার খেতে পারেন ডায়াবেটিসের রোগীরা। কারণ এর মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা রুটির সঙ্গে পিনাট বাটার একান্তই খেতে পারেন।
দিনে কত চামচ পিনাট বাটার খাওয়া উচিত?
কোন কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। কারণ পিনার বাটার অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে পরে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে (Health)। তাই প্রতিদিন এক দুই চামচ এর বেশি পিনার বাটার খাওয়া ভালো নয়। কিন্তু আপনি চাইলে আপেল বা কলার মতো ফলের সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন। অথবা ওটস, স্মুদির সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন।













