বাংলা হান্ট ডেস্ক: শরীরের (Health) অন্যতম অঙ্গ লিভার। এটি শুধুমাত্র যে হজমের জন্য সাহায্য করে তা নয়। শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে সাহায্য করে লিভার। তাই লিভারকে সুস্থ রাখতে গেলে চিকিৎসকেরা বাইরের খাবার দাবার ও অতিরিক্ত তেলেভাজা খেতে বারণ করে। কারণ অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খেলে লিভারের চর্বি জমতে পারে। যার থেকে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা যায়। আর একবার এই ফ্যাটি লিভার হলে পরে তখন নানা ধরনের খাবার খাওয়ার বারণ থাকে। পাশাপাশি খেতে হয় কারি কারি ওষুধ। তবে চিকিৎসকদের মতে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি আপনি যদি এই তিনটি পানীয় পান করেন তাহলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যার থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেতে পারেন।
ফ্যাটি লিভারের যত্নে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ তিন কার্যকর পানীয় (Health)
এছাড়াও, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মেদ যদি লিভারে জমতে শুরু করে তা হলেই ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের মতে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ওষুধের উপরেই ভরসা করতে হয়। তবে এই বিষয়ে প্রসঙ্গে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন চিকিৎসক সৌরভ শেট্টি। তিনি বলছেন, জীবযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনার পাশাপাশি রোজ তিন পানীয়ে চুমুক দিলেও কাজ হবে। সেগুলি কী কী? জানুন আজকের প্রতিবেদনে (Health)।
আরও পড়ুন: নর্থ বেঙ্গল যাত্রা বাতিল হলেও ঘুরে আসুন এই ৩ নিকটবর্তী প্রাকৃতিক পরিবেশে
১) কফি: ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন কফি। কারণ, কফির মূল উপাদান হলো ক্যাফিন। এছাড়া কফি লিভার ফাইব্রোসিস (স্কারিং) ও চর্বি জমা রোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি পরিমিত পরিমাণে কফি খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে ডা: সৌরভ জানিয়েছেন, কফি হতে হবে অর্গ্যানিক। খেতে হবে দুধ, চিনি ছাড়া।যদিও অনেকেই চিনি, দুধ ছাড়া কালো কফি খেতে পারেন না। কিন্তু চিনির স্বাস্থ্যকর নয়। সেখানে বিকল্প হিসেবে মধু বেছে নিতে পারেন।
View this post on Instagram
২) বিটের রস: লিভারে জমা টক্সিন দূর করতে হলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বা পানীয় খেতে হবে। বিটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এছাড়াও বিটের রসে থাকা বিটালাইন ও বিটেইন লিভার কোষকে সুরক্ষা করে। তাই প্রতিদিন বিটের রস খেলে লিভারে সহজে মেদ জমতে পারে না।
৩) গ্ৰিন টি: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে খেতে পারেন গ্রিন টি। কারণ এর মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন (বিশেষ করে EGCG) একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি লিভার কোষে হওয়া অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমায়। সৌরভ বলছেন, নিয়ম করে গ্রিন টি খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। গ্রিন টি-তে রয়েছে ECGC নামক একটি উপাদান। এটি লিভারের উৎসেচক উন্নত করে। সহজে ফ্যাট জমতে দেয় না (Health)।