বাংলা হান্ট ডেস্ক: লিভার আমাদের শরীরের (Health) গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি মূলত শরীরের ডিটক্স অঙ্গ। যা শরীর থেকে টক্সিন থেকে ফেলে। পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতে লিভারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে বর্তমানে বাইরের খাওয়া দাওয়া অতিরিক্ত করার ফলে বাচ্চা থেকে বয়স্ক অধিকাংশ মানুষের লিভারে ফ্ল্যাটে জমার প্রবনতা থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে ঘরোয়া কিছু পানিও নিয়মিত খেলেই এই সমস্যার থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।
মাত্র ২ সপ্তাহ চুমুক দিন এই কটি পানীয়তে, ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না লিভারে ফ্যাট (Health)
ফ্যাটি লিভার (Fatty liver) এখনকার দিনে অধিকাংশ মানুষের দেখা যায়। এরফলে বহু ওষুধ খেতে হয় অনেককেই। পাশাপাশি খাবার খেতে হয় বুঝে। তবে পুষ্টিবিদদের (Nutritionists) মতে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে খাবারের তালিকায় যেমন কিছু বদল আনতে হয়। তেমনই কিছু ঘরোয়া পানিয় পান করলে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
গ্ৰিন টি: গ্রিন টি ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খান। এই পানীয় লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা লিভারের কার্যকারিতা উন্নতি করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ফ্যাটি লিভারের থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
লেবুর জল: অনেকেই সকাল বেলায় খালি পেতে ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে এটি পান করেন। এটি ওজন কমানোর (Weight loss) সঙ্গে সঙ্গে লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা দেহের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। পাশাপাশি লেবু লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি রপ্তানিতে আকাল! মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক ধাক্কায় ক্ষতির মুখে দিঘার ব্যবসায়ীরা
ব্ল্যাক কফি: কফি খেতে অনেকেই ভালোবাসে। কিন্তু সেটি যদি দুধ ও চিনি ছাড়া খাওয়া যায় তাহলে শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী। কফির মধ্যে থাকা উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনি দিনে ২-৩ কাপ কফি খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
হলুদ ও আদার চা: আদাও হলুদ দুটি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি উপাদান ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরে (Health) ইমিউনিটি (Immunity) সিস্টেমকেও বৃদ্ধি করে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)