বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকাল বছর ৫০ পেরোতে পারে না। তার আগেই সুগার ধরা পড়ে। যার ফলে নানা খাবারের উপর বিধি নিষেধ দিয়ে দেয় চিকিৎসকরা। পাশাপাশি আপনার যদি হঠাৎ করে সুগার ধরা পড়ে তাহলে আপনি নিয়ম করো খাওয়া-দাওয়া করছেন (Health)। তাছাড়াও শরীরচর্চা তেও কোন রকমের কমতি রাখছেন না।
কিন্তু তারপরও সুগার (Sugar) লেভেল ঠিক থাকছে কিনা তা রোজ মেপে উঠা হয় না। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে কেউ কেউ তিন চার মাস অন্তর সুগার ফাস্টিং ও পিপি টেস্ট করেন। তবে চিকিৎসকদের মতে খালি পেটে এবং খাবার পরে একবার সুগার টেস্ট করালেই চলবে না। বরং দিনে ৬ বার করে সুগার টেস্ট করতে হয়।
হাই সুগার! দিনে কতবার পরীক্ষা করবেন জানেন? (Health)
চিকিৎসকদের মতে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। পাশাপাশি ডিনার ও সকালে সুগার চেকের মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে হবে। এর পাশাপাশি ব্রেকফাস্ট করার দু’ঘণ্টা পর পর আরো একবার এই টেস্ট করান। তারপর লাঞ্চ করার ৩০ মিনিট আগে ও খাওয়া শেষ করা দু’ঘণ্টা পরে আরো একবার সুগার চেক করানো উচিত (Health)।

আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোর গ্ৰিন লাইনের নতুন নিয়মে বাড়ছে দুর্ভোগ! এই একটা কারণেই চিন্তিত যাত্রীরা
তাছাড়া লাঞ্চের মতো ডিনারও একই ভাবেই সুগার চেক করতে হয়। তাই রাতে খেতে বসো তিরিশ মিনিট আগে ওর ডিনার শেষ করার দু’ঘণ্টা পরে একবার করে সুগার চেক করে নেওয়া ভালো। কারণ কোন সময় সুগার লেভেল কেমন থাকছে বা কতটা থাকছে পারলে পরে তার ডাইরিতে নোট করে রাখুন। এর ফলে ডাক্তার দেখাতে যখন আপনি যাবেন, তখন সেই নোটটি চিকিৎসকে আপনি দেখাতে পারবেন।
এছাড়াও ডাক্তারা সেই রিপোর্ট দেখে আপনার চিকিৎসা করতে পারবে। পাশাপাশি সুগার লেভেল ওঠানামা করলে সহজেই তা ধরা পড়ে যাবে। তবে যাদের ইনসুলিন নিতে হয় তারা এই পদ্ধতি দিনে কম করে ৬ বার করুন। কিন্তু সুগার যদি কন্ট্রোলে থাকে, তাহলে ৬ বার করে টেস্ট করানোর দরকার নেই। তখন মাসে একবার ফাস্টিং ও পিপি টেস্ট করালেই চলবে (Health)।












