বাংলা হান্ট ডেস্ক: গলার কাছে একটি ছোট্ট গ্রন্থি। দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মতো। তবে এই থাইরয়েড গ্রন্থিটি দেখতে ছোট্ট হলেও এর অবদান অনেক। এই গ্রন্থিটির থেকে T3 ও T4 হরমোন নিঃসয়ণ হয়। শরীরে এই হরমোনগুলো বিপাকক্রিয়াকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে করে (Health)। পাশাপাশি থাইরয়েড গ্রন্থি কখনো খুব বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে গেলে কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ করলে হরমোনের মাত্রা তারতম্য দেখা দেয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, আপনি যদি কিছু খাবার বাদ দেন তাহলে থাইরয়েড (Thyroid) কিছুটা হলেও হাতে থাকবে।
থাইরয়েড কন্ট্রোল করতে চাইলে প্লেটে রাখবেন না এই খাবারগুলো (Health)
আজকাল কমবেশি সকলেরই থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও থাইরয়েড প্রধানত দুই ধরনের হয়। প্রথমটি হাইপোথাইরয়েড (Hypothyroidism), হাইপারথাইরয়েড (Hyperthyroidism) । এছাড়া দেখা গিয়েছে থাইরয়েডে আক্রান্ত বেশিরভাগই হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত। থাইরয়েডে (Thyroid)আক্রান্ত হলে সব সময় ক্লান্তি লাগা , কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বক শুষ্ক বোধ হওয়া, সামান্য ওজন বৃদ্ধি , চুল পড়ে যাওয়া, নখে ক্ষয় ধরা, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া , হৃদস্পন্দন ধীর হয়ে আসা , মেনস্ট্রুয়েশন সংক্রান্ত সমস্যা, মেজাজ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হওয়ার মতো সমস্যা হয়। এই রোগ থাকলে পুষ্টিবিদের কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকতে বলেছেন তা জেনে নেওয়া যাক (Health)।
আরও পড়ুন: এক ঘেয়ামি পটল খেয়ে মুখে অরুচি ধরেছে? তাহলে তিল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন এই রেসিপিটি
১) সয়াজাত খাবার: বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সোয়া যত খাবার খেলে থাইরয়েডের পরিমাণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি থাইরয়েডে ওষুধের সঙ্গে এই খাবারগুলো খেলে উল্টো প্রতিক্রিয়া হয়। তাই সয়া জাত খাবার ও টোফু জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবেন।
২) কফি: থাইরয়েড (Thyroid) থাকলে ক্যাফিন জাতীয় খাবার না খাওয়াই উচিত। পাশাপাশি কফির থেকে দূরে থাকা ভাল। কারণ কফির মধ্যে ক্যাফিন জাতীয় দ্রব্যটি থাকে। যাদের ঘনঘন চাপা কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা সহজে এটির থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে এই পানীয় খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত।
৩) মিষ্টি: মিষ্টিজাত খাবার ও পানিও খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে যাদের ‘হাইপারথাইরয়েড’ (Hypothyroidism) আছে তাদের মিষ্টির থেকে দূরে থাকা উচিত।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)