বাংলা হান্ট ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরুহয় নানান ধরনের শারীরিক (Health) সমস্যা। ঘুম থেকে উঠেই হাত , পা, সারা শরীর, কোমর বা পিঠে শুরু হয় ব্যথা (Pain)। তবে এই ব্যাথা যে শুধুমাত্র বয়ষ্কদের হয় তা কিন্তু নয়। কমবয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যেও দেখা যায় এই ধরনের সমস্যা। এই ধরনের সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া কিন্তু একদম ঠিক নয়। এই সমস্যা এড়িয়ে গেলে হতে পারে বিপদ। আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো যদি এইরকম সমস্যা হয়, তাহলে কি করবেন।
সকালে উঠে ঘাড়-পিঠে ব্যাথা অনুভব হয়! কেন জানেন? (Health)
বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হতে থাকে শারীরিক নানান ধরনের সমস্যা। মূলত হাড়ের বা জয়েন্টের যন্ত্রনায় কষ্ট পায় বহু মানুষ। এর জন্য অনেকে চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদের মতামত নেন। খান একগাদা ওষুধ। কিন্তু ফল মেলে না সেইভাবে।
অনেকে আবার এইসব যন্ত্রনাকে উপেক্ষা করে। তবে এই বিষয়টি উপেক্ষা করা একদম উচিত নয়। কিন্তু জানেন কি কেন হয় যন্ত্রনা (Pain) গুলো। যদি এই সমস্যায় পড়েন তাহলে কি করবেন? রইল তার সমাধান।
১) ঘুমের সময় যদি মেরুদণ্ড বা ঘাড় সঠিক ভঙ্গিতে না থাকে তাহলে জয়েন্টের (Joint Pain) উপরে চাপ পড়ে। যার ফলে সকাল বেলা উঠেই পিঠে (Back Pain), শিড় দাঁড়ায় ও সারা শরীরে ব্যথা অনুভব আপনি করতে পারেন।
২) খুব নরম বা শক্ত বেড ম্যাট্রেস হলে অনেক সময় শরীর সঠিকভাবে সাপোর্ট পায় না। এই কারণেও আপনার কোমর বা গাঁটে ব্যাথা হতে পারে।
৩) বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হতে থাকে হাড়ের ক্ষয়। যার কারনে জয়েন্টে (Joint Pain) ঘষা লাগলে আপনি ব্যথা অনুভব করতে পারেন। তবে এই সমস্যা কিন্তু সকল বয়সী মানুষের মধ্যেই দেখা যায়।
৪) রাতে ঘুমের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেলে পেশি সংকোচন সঠিকভাবে হয় না। যার ফলে পেশিতে ক্রাম্প ধরতে পারে। এরকম সমস্যা হলে চিকিৎসকরা বেশি পরিমাণে জল খেতে বলে।
৫) পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে শরীরের কোষ পুনর্জীবিত হয় না। যার ফলে সকালে বেশি ও জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
৬) অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের পেশীকে টান টান করে রাখে। যার প্রভাবে সকালে আরও বেশি টের পাওয়া যায় এই ব্যথা।
আরও পড়ুন: সাবধান! স্টেশনে বা ট্রেনে রিলস বানালেই এবার জরিমানা, কত টাকা দিতে হবে?
কী করবেন?
এরকম সমস্যা দেখা দিলে সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমোনোর অভ্যাস করুন। স্বাস্থ্যসম্মত ডাক্তার প্রেসক্রাইব গদি ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত নরম বা অতিরিক্ত শক্ত গদি ব্যবহার না করাই ভালো। কম করে ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম করুন। এছাড় প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন ও পুষ্টিকর খাবারদাবার খাওয়া অভ্যাস করুন। আর এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া একান্তই প্রয়োজন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)