বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান দিনে বছর ৫০ পেরোতে পারে না তার আগে দেখা দেয় ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। আর এই ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে পরে শরীরে (Health) নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই চিকিৎসকেরা কোন ব্যক্তির ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে একদিকে যেমন নানান ধরনের খাবার খাওয়ার প্রতি বারণ সৃষ্ট করে। তেমনই এমন কিছু খাবার খেতে বলে যেগুলো খেলে পড়ে আপনি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও সমাধান পাবেন। আর আজকের প্রতিবেদনে রইল সেই সব খাবারের হদিশ।
প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন ৭ খাবার, কমবে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা (Health)
লাউ: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে পরে আপনি খেতে পারেন লাউ অথবা ঝিঙে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল ও ফাইবার। যার শরীরকে (Health) হাইড্রেট রাখতে ও কিডনির মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই প্রতিদিন ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের লাউয়ের জুস খাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: শীতের মরসুমে মাছের মাথার বদলে এবার মুড়িঘণ্টে থাকবে ফুলকপি! জানুন দারুণ এই রেসিপিটি
চেরি: চেরিতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই প্রতিদিন এক মুঠো চেরি খেলে গাঁটের ব্যথা কমে যায়।
বাঁধাকপি: যেকোনো ধরনের কপি অর্থাৎ বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলির মতো সবজি শরীরের ডিটক্স করতে ও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বাঁধাকপি বিশেষ করে কিডনির ওপর চাপ কমায়।
ওটস: ওটস এর মধ্যে থাকে সলিউবল ফাইবার। যার শরীরের টক্সিন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকর। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে, তারা প্রতিদিন সকালের জলখাবারে ওটস খেতে পারেন।
কলা: কলা শরীরের অ্যালকালিনিটি বাড়ায়। এছাড়া, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কিডনিকে সুস্থ রাখে। এছাড়া হালকা খিদের সময় বা জলখাবারে, কলা খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
লেবু ও গরম জল: লেবুর মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। যার শরীরের অ্যলকালাইন পরিবেশ সৃষ্টি করে। যা ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে সাহায্য করে (Health)।












