বাংলা হান্ট ডেস্ক: এখনো পর্যন্ত শীত পড়েনি। কিন্তু ভোটের হাওয়া ও রাতের পারদ নামতে শুরু করেছে কিছুটা হল। জানান দিচ্ছে ঋতু পরিবর্তনের বার্তা। আর এই পরিবর্তনের ফলে দীর্ঘদিনের গাঁটের ব্যথা আবার নাড়া দিয়েছে। কারন ঠান্ডা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, হাঁটু, কোমরের ব্যথা বাড়তে শুরু হয় (Health)। চিকিৎসকের আসার আগে ডায়েটে বেশ কিছু খাবার রাখার কথা বলেন। কারণ এই খাবারগুলো খেলে পড়ে আপনার এই গাঁটের ব্যথা কিছুটা হলেও কম হবে। তো জেনে নিন প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শীত পড়ার আগে অথবা শীতের সময় কোন কোন খাবারগুলি ডায়েটে রাখবেন।
শীতে গাঁটের ব্যথা? ডায়েটে রাখুন এই ৫ সুপারফুড (Health)
১) হলুদ ও আদা: ভারতীয় রান্নাঘরে খুব পরিচিত দুটি মশলা হল হলুদ, আদা। এছাড়াও এই দুটি প্রাকৃতিকভাবে বেদনা নাশক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। যা শক্তির অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণে সমৃদ্ধ। তাই হলুদ আর্থারাইটিস এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে পরে আপনি ব্যথা বেদনার থেকে উপশম পাবেন। এছাড়াও আপনি আদা চা পান করতে পারেন। অথবা রান্নায় বেশি পরিমাণে আদা ব্যবহার করুন (Health)।

আরও পড়ুন: Jio-র অবিশ্বাস্য অফার! সিনেমা থেকে স্পোর্টস, সবকিছুই এখন ১ টাকায়…
২) ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ: গাঁটের ব্যথা কমানোর জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। যা মূলত ব্যথার কারণ। তাই আপনি স্যামন, টুনা, সার্ডিন ইত্যাদি মাছ খান। অথবা আপনি খেতে পারেন ইলিশ, রুই , কাতলার মত মাছের তেল।
৩) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ শাকসবজি: যে সকল শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে সেই সমস্ত সবজি ডায়েটে রাখুন। কারণ এই গুলি ফ্রী রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে লড়াই করে ও গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি খেতে পারেন, ব্রকোলি, পালংশাক, মিষ্টি আলু প্রমূখ ধরনের সবজি।
৪) ক্যালসিয়াম ও ভি টামিন এ সমৃদ্ধ খাবার: শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকায় শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি লক্ষ করা যায়। এছাড়াও ভিটামিন ডি হাড়ের জন্য প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনি খেতে পারেন, ডিমের কুসুম, ফ্যাটি মাছ, ফর্টিফায়েড দুধ। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন। ক্যালসিয়াম দই, পনির, ছানা হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
৫) অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এছাড়াও আরো একটু উপাদান রয়েছে যার নাম হল ওলিওক্যান্থাল। যা ব্যথা নাশক ওষুধের মতন কাজ করে। তাই রান্নার ক্ষেত্রে বা স্যালাডে অন্য তেল দেওয়ার পরিবর্তে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন (Health)।












