বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar Case) পর বছর ঘুরে গিয়েছে। কিন্তু বিচার যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। আরজিকর কাণ্ডের পরেই হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিশেষ করে রাতের শিফটে মহিলা চিকিৎসক (RG Kar Case) সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তারপরেই হাসপাতালের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে বায়োমেট্রিক লক বসানোর উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। এক বছর পর কতদূর এগোলো কাজ?
রাজ্যের হাসপাতালে (RG Kar Case) বায়োমেট্রিক বসানো নিয়ে রিপোর্ট চাইল স্বাস্থ্য দফতর
হাসপাতালগুলিতে বায়োমেট্রিক বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে তা জানতে এবার উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষ সচিব (স্বাস্থ্য-শিক্ষা) অনিরুদ্ধ নিয়োগীর স্বাক্ষর সহ একটি আদেশনামায় সমস্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (RG Kar Case) অধ্যক্ষ এবং অধিকর্তাদের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কী কী জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁদের কাছে?
কী কী রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে: কোন হাসপাতালে কতগুলি বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম বসানো হয়েছে, কতগুলি হাসপাতালে বাকি রয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। কোন বায়োমেট্রিক লকগুলি এখনও চালু রয়েছে আর কোনগুলি অচল রয়েছে সে বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। সমস্ত তথ্যই দ্রুত জমা করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : দিনভর দুর্যোগ, ভোগান্তির সবে শুরু! সপ্তাহান্তে কেমন থাকবে আবহাওয়া?
গত বছর ঘোষণা হয়েছিল: গত বছর আরজিকরের (RG Kar Case) ঘটনার পরপরই ১৮ ই অগাস্ট ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসাপাতালের সংবেদনশীল এলাকাগুলি, যেখানে মহিলা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা নাইট ডিউটি করেন সেখানে যাতে বায়োমেট্রিক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে না পারেন তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অক্টোবর মাসেই মিলেছিল প্রশাসনের অনুমোদন। অথচ তারপর থেকে ১০ মাস অতিবাহিত হলেও কাজের অগ্রগতি তেমন হয়নি বলেই দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ভোটমুখী বিহারকে ১৩ হাজার কোটির উপহার, বাংলার জন্য ৫২০০ কোটির প্রকল্প! ডবল চমক মোদীর
চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, বাস্তবে এই উদ্যোগ তেমন কার্যকরী নয়। বছর ঘুরে গেলেও এখনও অনেক হাসপাতালে বায়োমেট্রিকের তথ্য গ্রহণই হয়নি বলে অভিযোগ। মুখ খুলেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের অনিকেত মাহাতো। আরজিকর আন্দোলনে (RG Kar Case) অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। অনিকেত জানান, বায়োমেট্রিক বসানো হলেও প্রথম দিন থেকেই তা অকেজো হয়ে রয়েছে। যে কর্মীরা নতুন এসেছেন তাদের থেকে তথ্য নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। শহরে কয়েকটি হাসপাতালে কাজ কিছুটা এগোলেও জেলার দিকে কাজের অগ্রগতি মোটেই ভালো নয় বলে জানা যাচ্ছে।