বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকাল বয়স দেখে না। বছর ৫০ পেরোতেই পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা কিংবা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে তীব্র যন্ত্রণা বা গাটে ব্যথায় ভুগতে থাকেন বহু মানুষ। আর এই ধরনের শারীরিক অসুস্থতা প্রতিদিনের জীবনে লেগেই রয়েছে। কর্মব্যস্ত জীবনে ও পরিবর্তিত খাদ্যাভাস যে সব অসুখের মধ্যে আরও বড় আকার নেয় তার মধ্যে অন্যতম হলো ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া (Health)। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তখন খেতে হয় কারি কারি ওষুধ। তবে চিকিৎসকরা বলছেন আপনারা প্রতিদিন খাবারে যদি তিনটি খাবার খান তাহলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যার থেকে কিছুটা হলেও সমাধান পেতে পারেন।
ইউরিক অ্যাসিডে কাবু? রোজ খান এই ৩টি খাবার (Health)
ইউরিক অ্যাসিড ধরা পরলেই সাধারণত খাদ্য তালিকার থেকে প্রচুর খাবার বাদ চলে যায়। যার মধ্যে অন্যতম হল, পাঁঠার মাংস, মুসুরি ডাল, পালং শাক, কফি, কেক, টমেটো প্রমূখ খাবারগুলি। তবে চিকিৎসকরা বলেন আপনি যদি এই ইউরিক অ্যাসিডের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন এই তিনটি ফল। যা জলের গতিতে কমিয়ে দেবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা (Health)।

আরও পড়ুন: দুই মাসের কেলেঙ্কারি কাণ্ডের পর বড় রদবদল! AI-কে এবার বেঁধে ফেলল কর্তৃপক্ষ
চেরি: চেরির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার শরীরের ব্যথা বেদনা দূর করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এই ফলটি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।
লেবু ও আপেল: ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে খেতে রাখতে পারেন লেবু। কারণ লেবুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই নিত্যদিনের ডায়েটে একটি করে যদি কমলা, মৌসম্বি বা পাতি লেবু খান তাহলে দেখবেন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লেবুর পাশাপাশি আপনি খেতে পারেন আপেল। কারণ আপের প্রচুর পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
উদ্ভিজ্জ প্রোটিন: শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার। সেখানে আপনি প্রানীজ প্রোটিন খেলে পরে আপনার ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তবে সেই সময় আপনি খেতে পারেন উদ্ভিদই জাতীয় খাবার। অর্থাৎ শাক সবজির পাশাপাশি নানা রকমের দানাশস্য ও মাশরুমের খাবার খেতে পারেন। এতে আপনার ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে (Health)।













