বাংলা হান্ট ডেস্ক: পান্তা ভাতের নাম শুনলেই সবার আগে মাথায় আসে গ্রামের কথা। কারণ গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের সকাল বেলায় জলখাবার হিসেবে এই খাবারটি খেয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের এই অতি সাধারণ ও ঐতিহ্যবাহী খাবারটির মধ্যে রয়েছে এক প্রোবায়োটিক পাওয়ার হাউজ। চিকিৎসকদের মতে রাত্রের বেঁচে যাওয়া ভাত জল দিয়ে রেখে সকালবেলা খেলে পরে, শরীরের নানান রকমের উপকার পাওয়া যায় (Health)।
পান্তা ভাত শুধু শরীর ঠান্ডা রাখেনা, জানুন এর পুষ্টিগুণ (Health)
চিকিৎসকদের মতে পান্তা ভাতের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক উৎস। যা ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি হজম বাড়াতে ও পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে (Health)। এছাড়াও পান্তা ভাত যেহেতু একটু ফুলে ওঠে জলে থাকার ফলে, তাই এই ভাতের মধ্যে বেশ কিছু পুষ্টিগুন পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: কালিম্পং ভ্রমণকারীদের জন্য হটস্পট! তিস্তা ও কাঞ্চনজঙ্ঘা একসাথে উপভোগের সুযোগ
কারণ পান্তা ভাতের মধ্যে, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর মতন খনিজ উপাদানের পরিমাণ থাকে। যা শরীরের আয়রন এ পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তশূন্যতা কমাতে ও পান্তা ভাতের সাহায্য অনস্বীকার্য।
এছাড়াও পান্তা ভাত যেহেতু natural ভাবে শীতল প্রকৃতির হয় তাই এই খাবার শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারে। এর জন্য অনেকে গরমকালে শরীরে তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ভাত বেশি করে খান। পাশাপাশি পান্তা ভাতের মধ্যে মেলে বি১২। আর এই ভাত ক্লান্তি দূর করতে পারে। পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্র কে সচল রাখতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখবেন, পান্তা ভাত স্বাস্থ্যকর হলেও এটি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সঠিকভাবে রাখা উচিত। কারণ পান্তা ভাত শুধু মাত্র যে একটি ঐতিহ্যবাহী বা অর্থনৈতিক সাশ্রয়ী খাবার তা কিন্তু নয়। এটি স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের এক দারুন মেলবন্ধন। ৎ এর প্রবায়োটিক গুনাগুন অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ক্লান্তি দূর করতে পারে পান্তা ভাত (Health)।












