বাংলা হান্ট ডেস্ক: অল্পেই ক্লান্তি আসছে শরীরে,আচমকাই ওজন বেড়ে যাচ্ছে। বা ক্রমশ চুল পড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে ও রুক্ষ ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। এই ধরনের সমস্যা এখন অধিকাংশ মানুষের দেখা যায়। যার ফলে নানা রকমের চিকিৎসা বা নানান ধরনের পন্থা অবলম্বন করেন (Health Tips)। তবে আপনারা জানলে অবাক হবেন এইসব হয় থাইরয়েড গ্রন্থির অতিসক্রিয়তা কিংবা নিষ্ক্রিয়তা। সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, এই হরমোনের হেরফেরে পৃথিবীর অন্তত ১৫ শতাংশ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত। বিশেষ করে মহিলাদের বেশি এই ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
থাইরয়েড সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে এই ঘরোয়া উপায় গুলো মানলেই পাবেন সমাধান (Health Tips)
থাইরয়েড (Thyroid) শরীরের অতীব ছোট গ্ৰন্থী। কিন্তু এর ক্ষমতা প্রচুর। থাইরয়েড থেকে বেরোনো হরমোন মেজাজ, শারীরিক শক্তি, সব কিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। এই গ্রন্থির যদি ঠিক মতো কাজ না করে, তা হলে শরীরে ক্লান্তি, খারাপ মেজাজ, ওজনে হেরফের দেখা যাবে। এই সময় মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত দরকার। এছাড়াও, রক্তপরীক্ষা করানোর পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সতর্ক হওয়া উচিত। আজ আপনাদের সঙ্গে তেমনই কিছু প্রতিদিনের খাবারের কথা বলবো যা থাইরয়েডের (Thyroid) স্বাস্থ্যের (Health) জন্য উপকারী।
আরও পড়ুন: এবার হাতের নাগালে সোনা! জলের দরে বিক্রি হচ্ছে ৯ ক্যারেট হলুদ ধাতু
১) আয়োডিন যুক্ত লবন: আয়োডিনযুক্ত লবণ থাইরয়েড এর হরমোন তৈরির জন্য একটি মূল পুষ্টিকর উপাদান। এতে রোজ রান্নায় এক চিমটে করে দিলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। পাশাপাশি এটি শরীরের জন্য উপকারী। যে সকল ব্যক্তি থাইরয়েড রয়েছে তাদের অতিরিক্ত আয়োডিনযুক্ত খাবার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই সামুদ্রিক মাছ, দুগ্ধজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে বলা হয়।
২) সজনে: চিকিৎসকদের মতে সজনে ডাঁটায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিড্যন্ট থাকে। যা থাইরয়েডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পাশাপাশি সজনে ডাঁটা ছাড়া সজনে ফুল শরীরের পক্ষে উপকারী। এর ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনা বৃদ্ধি পায় ও পুষ্টি শোষণ উন্নত করে।
৩) নারকেল: নারকেল থাইরয়েড এর জন্য উপকারী। নারকেল মূলত স্বাস্থ্যের ফ্যাট হরমোনের কার্যকারিতাকে বৃদ্ধি করে ও শক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি থাইরয়েড গ্রন্থি যদি অচল হয়ে পড়ে তার জন্য ভার্জিন নারকেল তেল ভীষণ উপকারি।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)