বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকাল আট থেকে আশি প্রায় সকলের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা যায়। এটি মূলত একটু বর্জ্য পদার্থ। যা পিউরিন নামক উপাদানের ভাঙনের ফলে শরীরে তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের মধ্যে শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড জমতে থাকলে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব, শক্ত হয়ে যাওয়া ও হাঁটাচলা করা অসুবিধা হয়ে ওঠে। তবে এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে গেলে চিকিৎসকরা নানান ধরনের ওষুধ খাবার পরামর্শ দেন। তবে প্রতিদিনের ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যার হাত থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন (Health Tips)।
ওষুধ ছাড়াই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে আনতে ডায়েটে আনুন সামান্য পরিবর্তন (Health Tips)
ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid) মাত্রা বৃদ্ধি ইদানিং সাধারণ মানুষের একটু সমস্যা হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতি বাড়িতে একজন করে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় (Uric Acid Problem) আক্রান্ত রয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড বয়স কালের সমস্যা। তবে আজ আর এই সমস্যা বয়সের উপর নির্ধারণ করে হয় না (Health)। যে কোন বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাসে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে নিত্যদিনের ডায়েটে (Diet) কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: ফের ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ! আজ দিনভর বৃষ্টি একাধিক জেলায়: আবহাওয়ার খবর
চেরি: আপনার যদি ইউরিক অ্যাসিডের সিডের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন চেরি। কারণ চেরির মধ্যে রয়েছে উত্তরাধিক মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কিনা শরীরের (Health) ব্যথা বেদনা দূর করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও দারুন সাহায্য করে এই ফলটি।
আপেল: শুধুমাত্র ভিটামিন সি নয়। ভিটামিন এ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের ডায়েটে একটু করে আপনি আপেল রাখুন। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ। এটি প্রতিদিন খেলে ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid) সমস্যা থেকে আপনি রক্ষা পেতে পারেন।
আদা চা: ইউরিক অ্যাসিডের মতন সমস্যা থাকলে খেতে পারেন আদা চা। আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহনাশক উৎপাদন। যা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ওষুধের মতন কাজ করে।
লেবু: ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিডের বড় শত্রু। শরীরে ভিটামিন সি এর মাত্রা বাড়লে ইউরিক অ্যাসিডের সিডের সমস্যা কমে যায়। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে লেবু রাখুন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)