প্রটিনের ভান্ডার! প্রতিদিন ৩টি করে ডিম খাচ্ছেন, জানেন এর ফলে কী হয়, এই বিষয়ে কি বলছেন পুষ্টিবিদরা?

Published on:

Published on:

Health Tips what happens if you eat 3 eggs daily nutritionist's opinions

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ডিম খুবই পুষ্টিকর খাবার। এ কারণে প্রায় অনেকেই এটিকে খাদ্যতালিকায় রাখেন (Health Tips)। পুষ্টিবিদদের মতে ডিম (Egg) এমন একটি খাবার যা সহজলভ্য, স্বাদের দিক থেকে সেরা ও যথাযথ পুষ্টি রয়েছে এতে। বিশেষ করে প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিমের তুলনা হয় না। ডিমে রকমাররি পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও, অনেকেই একসঙ্গে বা সারাদিনে কয়েকটি ডিম খেয়ে ফেলেন। তাই নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে। কারও মতে দিনে একটি খাওয়া ভালো, আবার কারও মতে বেশি খেলে সমস্যা নেই।

প্রতিদিন কটা ডিম খেতে পারেন জানেন, কি বলছে পুষ্টিবিদরা (Health Tips)

ডিমকে (Egg) প্রধানত প্রোটিন এবং পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস হিসেবে বিবেচনা করা হয় । এটি কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী । কিন্তু আপনি কি জানেন ডিমের সমস্ত উপকারিতা পেতে প্রতিদিন কতটি ডিম খাওয়া উচিত ? জেনে নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন ডিম খাওয়া শরীরের পাশাপাশি হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে তাদের অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেশি তাদের ডিম একান্ত খাওয়া দরকার। এছাড়াও প্রতিদিন ডিম খেলে স্বাস্থ্য উপকারিতা বাড়ে।

সূত্রের খবর, একটি ডিম থেকে শক্তি মেলে ৭৮ ক্যালোরি। যার ফলে এতে প্রোটিন থাকে ৬.৩ গ্রাম ও ফ্যাট থাকে ৫.৩ গ্রাম। এ ছাড়াও এতে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, ফসফরাস, সেলিনিয়াম-সহ একাধিক খনিজ পদার্থ থাকে। এই সকল উপকারী পদার্থ থাকার জন্য ডিমকে সস্তায় পুষ্টিকর বলা হয়। কিন্তু রোজ কটা করে ডিম খাবেন, এই প্রশ্নটা সকলের মাথায় ঘোরে। পুষ্টিবিদদের মতে প্রতিদিন তিনটি করে ডিম খেতে পারেন। তবে শারীরিক কোন অসুবিধা থাকলে একসঙ্গে তিনটি ডিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ একটি ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রামের কোলেস্টেরল মেলে। বিশেষত, যাঁদের ওজন বেশি বা হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য দিনে তিনটি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। এর ফলে উচ্চ কোলেস্টরেলের সমস্যা দেখা যেতে পারে।

Health Tips what happens if you eat 3 eggs daily nutritionist's opinions

আরও পড়ুন: মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে! বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের রাগ বেশি হয় কেন জানেন?

প্রসঙ্গত, শিশু থেকে বয়স্ক সকলে ডিম খেতে ভালোবাসে। তবে এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানান, এক বছরের কম বয়সি শিশুদের ডিমের কুসুম দেওয়া যেতে পারে। সাদাটা খাওয়াতে বারণ করা হয়, কারণ ডিমের এই অংশটি থেকে শিশুদের অ্যালার্জির ঝুঁকি থাকে। তবে এক বছরের পর থেকে ডিমের দুটো অংশই খাওয়ানো যেতে পারে। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা আরও জানান ডিম সেদ্ধ, বা হাফ বয়েল্ড ডিম শরীরের পক্ষে ভালো। কিন্তু বেশি তেলে ডিমের ওমলেট করলে তার খেতে ভালো লাগলেও, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)