বাংলাহান্ট ডেস্ক: পর্দায় বীরু-বসন্তি হোক কিংবা বাস্তব জীবনে ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)-হেমা মালিনী (Hema Malini), তাঁদের প্রেমে কখনো ভাঁটা পড়েনি। বলিউডে একাধিক বিয়ে, পরকীয়া নতুন বিষয় নয়। ইন্ডাস্ট্রির ‘ড্রিম গার্ল’ও বিবাহিত ধর্মেন্দ্রকেই মন দিয়ে বসেছিলেন। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও বিয়ে করেছিলেন অভিনেতাকে। দীর্ঘ ৪০ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দিলেন তাঁরা।
১৯৮০ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা। তার আগে ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কউরকে (Prakash Kaur) বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা। শোনা যায়, প্রথম স্ত্রীকে কোনোদিন ডিভোর্স দেনইনি ধর্মেন্দ্র। তা সত্ত্বেও হেমার প্রেমে পড়ে তাঁকে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কোনোদিন রেষারেষি করতে যাননি হেমা।
অনেকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি কক্ষণো স্বামীর প্রথম পক্ষের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেননি। একটা মানুষের থেকে এতটা ভালবাসা পেয়েছেন তিনি। তারপরেও এমন নগণ্য জিনিসের জন্য তাঁকে কষ্ট দেবেন কীকরে?
হেমার কথায়, “আমি কোনোদিন ওঁকে (ধর্মেন্দ্র) বিরক্ত বা অত্যাচার করিনি। আমি শুধু চেয়েছিলাম ভালবাসাটা বজায় থাকুক। কোনো কিছু আমাদের মাঝে আসতে পারে না। আমি ওঁর সমস্যাগুলো বুঝি। ওঁর মতো করে সবকিছু করি আমি। তাই উনি আমাকে এতটা ভালবাসেন।”
ওই সাক্ষাৎকারে হেমা আরো জানিয়েছিলেন, ধর্মেন্দ্রর প্রথম পরিবারের প্রতি তাঁর মনে কোনো বিদ্বেষ নেই। সেই কারণেই তিনি এত আনন্দে থাকেন। এমনকি বিয়ের আগে এই বিষয়গুলো আলোচনা পর্যন্ত করেননি তাঁরা। পরিস্থিতি যেমন ছিল তেমন ভাবেই মেনে নিয়েছিলেন হেমা।
অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, বিয়ের পরেও কখনো প্রথম পরিবারের থেকে ধর্মেন্দ্রকে আলাদা করেননি হেমা। উপরন্তু তিনি আরো বলেন, এই বয়সে এসেও একে অপরের খেয়াল রাখেন তাঁরা দুজনে। বিয়ের আগে কয়েকবার প্রকাশের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল হেমার। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের পর আর কোনোদিন দেখা হয়নি দুজনের। প্রকাশকে বিরক্ত করতে চাননি হেমা মালিনী।