বিপরীত ধর্মীয় প্রেম ( Heretical love) এ প্রায় ই দেখা যায় পারিবারিক সমস্যা , যা আবার দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে। আসানসোলের এক বাসিন্দা গৌরব ঠাকুরের এই প্রেম কাহিনীতে বাধা হয়ে দাড়ালো তার ধর্ম। গৌরবের সাথে যে মেয়েটির প্রেম হয় সে ছিল অন্য ধর্মের, এবং তার সাথেই শুরু হয় পরিবারের মধ্যে ধর্ম যুদ্ধ। বাধ্য হয়ে দুইজনকে পালিয়ে যেতে হয়। এর পরে ই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝঞ্ঝাট শুরু হয়। বাধ্য হয়ে মাঠে নামে পুলিশ।পুলিশ গৌরব কে তার প্রেমিকার সাথে মামারবাড়ি থেকে খুঁজে বের করে। সেখানেই সে লুকিয়ে বসে ছিল।
আসানসোল থানাতে করা হয় অপহরনের অভিযোগ
আসানসোল দক্ষিণ থানার বাসিন্দা প্রেমিকার পিতা ২১ জানুয়ারি তার কন্যার অপহরনের অভিযোগে স্থানিয় থানায় অভিযোগ নিয়ে যায়। আসানসোল দক্ষিণ থানার অধিকারী এবং এই কেসের অনুসন্ধানকারী স্বরূপ মূখার্জী বলেছেন যে এই অঞ্চলের এক বাসিন্দা তাদের কাছে তার নাবালিক কন্যার অপহরনের জন্য অভিযোগ নিয়ে আসে। এরপরই অভিযোগ উঠে আসে বিগু ঠাকুরের ১৯ বছরের পুত্র গৌরব ঠাকুর , নীরজ ঠাকুর এবং কৌশল তেওয়ারির ওপর। পুলিশের থেকে জানা গেছে যে কন্যাটির বয়স কেবল ১৭ বছর। ২০ জানুয়ারি পাশের দোকান থেকে কিছু জিনিস আনতে গিয়েছিল সে, তারপর থেকেই নিখোঁজ। বহু খোজখবর নেওয়ার পরেও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। তারপর জানা যায় যে, নমিত পাড়ার বিগু ঠাকুরের পুত্র গৌরব ঠাকুর তার মেয়েকে বাজে মতলবের দ্বরূন অপহরণ করেছে এনং বিগুর বাড়িতে প্রশ্ন করায় বাজে ব্যাবহার করা হয় তার সাথে।
গৌরবের পিতা আসানসোল নগরনিগামের একজন প্রমূখ। বিধর্মের কারনে ঘরছেড়ে পালাণড় দ্বরূন এক থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয় । এরপর উদ্ধার করা হয় গৌরব ঠাকুর ও তার প্রেমিকা কে , গৌরবের মামা সুরেশ শর্মার বাড়ি থেকে। পুলিশের অনুমান যে এইবার আসানসোলের পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হবে। গৌরব এবং তার প্রেমিকা কে উদ্ধারের পরে পুলিশ কতৃপক্ষ থেকে শুরু হয় আইনি জেড়া। তারপরে প্রেমিক কে অপহরনের অভিযোগে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে প্রেমিকের ম্যা জ্যোতি দেবী কেও কিছু প্রশ্ন করে পুলিশ। তার অনুসারে এটি অপহরণের দ্বরূন হওয়া ঘটনা নয়। এই ঘটনাটি প্রেমের কারনে ঘটেছে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা