বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশ উপনির্বাচনে একটুর জন্য সাংসদের আসন হাতছাড়া হয়েছে জনপ্রিয় ইউটিউবার হিরো আলমের (Hero Alom)। বগুড়া ৪ অর্থাৎ কাহালু-নন্দীগ্রাম এবং বগুড়া ৬ অর্থাৎ সদর এই দুই কেন্দ্রে একতারা চিহ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আশাবাদীও ছিলেন যে জিতবেন। কিন্তু তাঁর আশাম জল পড়ে। এবার হিরো আলম অভিযোগ করলেন, তাঁকে স্যার বলে ডাকতে হবে বলে নাকি ইচ্ছাকৃত ভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মোঃ আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম দুই বাংলাতেই বেশ জনপ্রিয়। গান, অভিনয়, আবৃত্তির পর রাজনীতিতেও নেমে পড়েছিলেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন তিনি দুই কেন্দ্র থেকে। বুধবার ভোটকেন্দ্রগুলি পরিদর্শনে বেরিয়ে হিরো আলম জানিয়েছিলেন, বগুড়া-৬ আসনের কোনো কেন্দ্রে তাঁর কোনো এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেখানে তাঁর কোনো আশাই নেই।
তবে বগুড়া-৪ আসন নিয়ে আশাবাদী ছিলেন হিরো আলম। সেখানে সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, কাহালু নন্দীগ্রামের সাংসদ তিনিই হবেন। কিন্তু ভোট গণনা শেষে দেখা যায় ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে গিয়েছেন হিরো আলম।
বেসরকারি ভাবে কাহালু নন্দীগ্রাম আসনের ১১২ টি কেন্দ্রে মোট ৭৮ হাজার ৫২৪ ভোটের মধ্যে রেজাউল করিম পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। আর হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। এরপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিষ্ফোরক অভিযোগ করেন হিরো আলম। নির্বাচনের ফল পালটে তাঁকে ইচ্ছা করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে হিরো আলম হুমকি দেন, তিনি আদালতে যাবেন।
শুক্রবার সদরে ভোটদাতাদের সঙ্গে দেখা করে হিরো আলম বলেন, নির্বাচনের ফল কেউ মেনে নিতে পারছেন না। কান্নাকাটি করছেন। তাদের সান্ত্বনা দিতে এসেছেন তিনি। এরপরেই তিনি অভিযোগ করেন, ভোট সুষ্ঠ ভাবে হলেও ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নাকি তাঁর ভোট ছিনতাই করে ১৪ দলীয় মহাজোটের প্রার্থীকে জিতিয়ে দিয়েছে।
হিরো আলম বলেন, শিক্ষিত সমাজের কিছু মানুষ মনে করেন, তিনি জিতলে বাংলাদেশের সম্মান নষ্ট হবে। তাঁকে স্যার বলে ডাকতে হবে। তাই তাঁকে কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোটে।