বাংলাহান্ট ডেস্ক: যে দেশে জন্ম, বসবাস সেই দেশের মানুষই এখন তাঁর বিপক্ষে। বেসুরো হেঁড়ে গলায় গান গাওয়ার জন্য হিরো আলমের (Hero Alom) পেছনে পুলিস লেলিয়ে দিয়েছে খাস বাংলাদেশের মানুষ। লাগাতার জেরায় কাহিল অবস্থা হিরো আলমের। পুলিস তাঁকে মানসিক নির্যাতন করছে, এমন অভিযোগও করেছেন হিরো আলম।
এবার তিনি অভিযোগ করলেন, বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা নেই। আসলে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি বিকৃত ভাবে গাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশি ইউটিউবারের বিরুদ্ধে। তাঁকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয় যে তিনি আর রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন না। তাঁকে নাগাড়ে জেরাও করে পুলিস।
এবার বিরক্ত, বিধ্বস্ত হিরো আলম অভিযোগ করলেন, বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা নেই। তাঁর গান গাওয়ার স্বাধীনতা নেই। তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে। এরপরেই হিরো আলমের বিষ্ফোরক দাবি, তিনি যদি নিজের দেশেই স্বাধীনভাবে চলাফেরা না করতে পারেন, তবে অন্য দেশে পাকাপাকি ভাবে আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে দুবারও ভাববেন না। আর সেক্ষেত্রে তিনি এপার বাংলাতেই আশ্রয় নেবেন বলে জানান হিরো আলম।
বাংলাদেশি ইউটিউবার বলেন, গান গাওয়া তাঁর পেশা। এক একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য বাংলাদেশি টাকায় দেড় লক্ষ টাকা নেন বলে জানান হিরো আলম। আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় গান আপলোড করতেন। এই সোশ্যাল মিডিয়াই তাঁকে স্টার বানিয়েছে। আবার এই সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষজনই তাঁকে ট্রোল করেন। আগে লুকিয়ে থাকলেও এখন কটুক্তিকে বিশেষ পাত্তা দেন না হিরো আলম।
এর আগে হিরো আলম অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অকারণে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। কারণ তিনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং তাঁর গায়ের রঙ কালো। এসব নিয়েই আপত্তি রয়েছে অনেকের, দাবি হিরো আলমের।