বাংলাহান্ট ডেস্ক: ট্রেন্ডিংএ থাকতে ভালবাসেন হিরো আলম (Hero Alom)। আর ট্রেন্ডিং থাকার সবথেকে সহজ পথ হল গান। বাংলাদেশে যদিও হিরো আলমের গান নিয়ে তীব্র আপত্তি তৈরি হয়েছে। মানববন্ধন করে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গ্রেফতারির দাবিও উঠেছিল। কিন্তু কে রোখে ইউটিউবারকে? দিব্যি গান গেয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। উপরন্তু বাংলাদেশের নব উদ্বোধিত পদ্মা সেতু নিয়েও গান বেঁধে ফেলেছেন হিরো আলম।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছে হাসিনা সরকার। এই সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে বলে দাবি করা হয়েছে। সর্বত্র এখন চর্চায় পদ্মা সেতু। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ফেলেছেন হিরো আলম।
গানে গানে হাসিনা সরকারের স্তুতি করতে শোনা যায় ইউটিউবারকে। সবুজ পাঞ্জাবি পরে, মাথায় গাঢ় সবুজ ওড়না বেঁধে পদ্মা সেতুর সামনে দাঁড়িয়ে গান ধরেছেন হিরো আলম। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন তিনি। কমেন্ট বক্সে যদিও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা।
একজন লিখেছেন, ‘মারাত্মক গান। কানের পদ্মা ফাইটা গেছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘হিরো আলম মানে নতুন কিছু বিনোদন।’ কয়েকজন মজা করে লিখেছেন, পদ্মা সেতুর গান শুনে কান দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে। তাতে অবশ্য কোনো পাত্তা দেননি হিরো আলম।
হিরো আলমেরের উদ্ভট সুরে গানের ঠেলায় তিতিবিরক্ত অনেকেই। কিছুদিন আগে ভুলভাল রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন হিরো আলম। ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ গানটি গেয়েছেন তিনি। গিটার বাজিয়ে অনেক কায়দাবাজি করে গান গাইতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু সেখানে না আছে সুর না আছে ঠিকঠাক লিরিক্স।
কিন্তু দমানো যায়নি তাঁকে। নিজের মতো করে গান গেয়ে প্রয়াত কেকের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। ‘কাইটস’ ছবি থেকে কেকের গাওয়া ‘জিন্দেগি দো পল কি’ গানটি গেয়েছেন হিরো আলম। তবে নিজের স্টাইলে। অর্থাৎ বেশিরভাগ উচ্চারণ এবং সুর ভুল করেই দিব্যি গান গেয়েছেন হিরো আলম।
উপর্যুপরি এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাংলাদেশের বাসিন্দারা। তাই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ সংস্থা’র তরফে। মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত হয় এই মানববন্ধন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট মানুষ।
প্রশ্রয় পেয়ে মাথায় চড়ে বসেছেন হিরো আলম। তাঁর বেসুরো গান বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেসুরো গান গাওয়া এবং আরো কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে হিরো আলমকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। কিন্তু হিরো আলমকে দাবিয়ে রাখা যায়নি।
আরজিকর কান্ডে বিতর্কিত মন্তব্যের পর, পুজো উদ্বোধনে সৌরভ বললেন, ‘এই শেষ…’