ধর্ম লুকিয়ে ভুয়ো পুলিশ অফিসার, করতে যান নাবালিকাকে বিয়ে! মণ্ডপেই খুলে যায় মুখোশ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : উপযুক্ত পাত্রের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন প্রত্যেক বাবা মার থাকে। কিন্তু কখনও বাবা মায়েরাও ভুল করে ফেলেন মানুষ চিনতে। যার ফল হয় মারাত্মক। নষ্ট হয় তাঁদের আদরের মেয়ের জীবন। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছিল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) এক পরিবার। মধ্য বয়স্ক এক ব্যক্তি নিজের পরিচয় লুকিয়ে বিয়ে করতে চলে যায় এক নাবালিকাকে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বিয়ের মন্ডপেই খুলে যায় তার মুখোশ। বেঁচে যায় একটি পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এক মহিলার সঙ্গে ব্যাঙ্কে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। সেই মহিলার ব্যঙ্কের কাজ মিটিয়ে দেয় সেই ব্যক্তি। তারপর ওই মহিলার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে সে। নিজের পরিচয় দেয় সঞ্জয় বলে। সে জানায় সে নাকি পুলিসে চাকরি করে। জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি যতবারই ওই মহিলার বাড়িতে আসত, ততবারই পুলিসের পোশাকে আসত। ধীরে ধীরে ওই পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে তার।

ইতিমধ্যে অভিযুক্ত জানায় তার বাড়ি ওই মহিলার বাপের বাড়ির এলাকাতেই। হঠাৎই একদিন ওই মহিলার নাবালিকা কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ওই ব্যক্তি। অত্যন্ত গরীব ওই মহিলা পুলিসের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারে নি। প্রথমে রাজি না হলেও পরে এই বিয়েতে হ্যাঁ করে দেয় সে। অবশেষে উপস্থিত হয় বিয়ের দিন। আর সেদিনই ঘটে যায় সেই অদ্ভুত কান্ড।

তৈরি বিয়ের মন্ডপ। হবু বরও এসে উপস্থিত। কিন্তু বরকে দেখে সন্দেহ কয়েক জনের। তারা চুপিসারে খবর দেয় পুলিসে। খবর পেয়েই মন্ডপে হাজির হয় পুলিস। পুলিস গাড়ি দেখেই দৌড়ে পালায় হবু বর। প্রকাশ্যে আসে সত্য ঘটনা। পুলিস জানায় ওই ব্যক্তির নাম মোটেই সঞ্জয় নয়। সে এক মুসলিম ব্যক্তি। নিজের ভাঁড়িয়ে বিয়ে করতে আসে। আর সে মোটেই পুলিসে চাকরি করে না। এলাকার পুলিসের ডেপুটি সুপার জানান, ‘মধ্য বয়স্ক ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় ও ধর্ম লুকিয়ে নাবালিকাকে বিয়ে করতে আসে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর