মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় কড়া নির্দেশ হাই কোর্টের, দিল চার সপ্তাহ সময়

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল আদালত। আজ মঙ্গলবার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির পরিমাণ বিপুল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অভিযোগেই হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অরিজিৎ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী আবার বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের একাংশ বিভিন্ন সময় যে সরকারি হলফনামা পেশ করেছেন, তাতে সম্পত্তি বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বলেই মামলাকারী অভিযোগ করেন।

মামলাকারীর পক্ষ থেকে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কাজরী মুখ্যমন্ত্রীর ভাই সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে কাজরী তাঁর দেওয়া হলফনামায় বহু তথ্যই লুকিয়ে গেছেন বলে দাবি মামলাকারীর। দু’টি সংস্থার নাম উল্লেখ করে বলা হয়, এমন অনেক সংস্থায় ওই দম্পতির নাম নথিভুক্ত থাকলেও নির্বাচনী হলফনামায় সেগুলোর কোনও উল্লেখই নেই। কাজরী হলফনামায় দাবি করেন, তিনি এবং তাঁর স্বামী সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তা সত্ত্বেও তাঁদের এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী। এছাড়া, তাঁরা তাঁদের ছেলের সম্পত্তির কোনও হিসাবই পেশ করেননি বলেও অভিযোগ করা হয়।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুনলাম, বিজেপি আমার নামে মামলা করেছে। আমি তো গত ১২ বছর ধরে এমপি হিসেবে যে পেনশন পাই, তা-ও নিই না। সাংসদ হওয়ার পরও কোনও দিন বিজনেস ক্লাসে কোথাও যাইনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমার যে প্রাপ্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, তা-ও নিই না। আমি যেখানে থাকি, সেটাও ঠিকায়। আমার নিজের বলতে কিছুই নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভাই-বোনেরা সবাই আলাদা আলাদা থাকি। যে যার পরিবার নিয়ে। কখনও-সখনও দেখা হয়। উৎসবের মরসুমের সময় আমাদের যোগাযোগ হয়। রাখিবন্ধনের সময়। কালীপুজোর সময়।’ অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বৃদ্ধিতে তাঁর কোনও হাত নেই। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

X