এবার হাইস্পিড ইন্টারনেট বসবে রাজ্যের সব স্কুলেই! পড়াশোনার অগ্রগতি ঘটাতেই বড়সড় উদ্যোগ রাজ্যের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার রাজ্যের স্কুলগুলি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। প্রত্যেকটি সরকারি স্কুলে বসানো হবে হাই স্পিড ইন্টারনেট। এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে একটি ওয়ার্ক অর্ডার জারি করা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে। পশ্চিমবঙ্গের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলেই উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা বসাতে উদ্যোগী হয়েছে ওয়েবেল।

করোনা মহামারীর সময়ে লক ডাউন হওয়ার ফলে ঘরে বসেই চলেছে পড়াশোনা। সেই সময় ইন্টারনেট পরিষেবার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই হয়েছে স্কুল-কলেজের ক্লাস। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখন চিরাচরিত নিয়মে স্কুলে চলছে পড়াশুনা। তবে স্কুলের অনেক কাজের জন্য প্রয়োজন হয় ইন্টারনেটের।

আরোও পড়ুন : দেখতে পান না চোখে! সম্বল শুধু ইচ্ছেশক্তি, পরিশ্রম; মাধ্যমিকে বাজিমাত করতে চলেছেন এই তিন পড়ুয়া

 দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল যে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ঠিকমতো ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায় না। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রান্তিক এলাকার স্কুলগুলিতে এই সমস্যা আরও প্রবল। স্লো ইন্টারনেট স্পিডের জন্য সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলগুলিকে। বর্তমানে অধিকাংশ স্কুলকে কার্যত নিয়ন্ত্রণ করা হয় ‘বাংলা শিক্ষা পোর্টালের’ মাধ্যমে।

আরোও পড়ুন : বাজার কাঁপাতে আসছে Maruti’র এই নতুন গাড়ি! চমৎকার ফিচার্স, দুর্দান্ত মাইলেজের সামনে পাত্তা পাবে না কেউই

শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে এই পোর্টালে স্কুলের পড়ুয়াদের নম্বর আপলোড করতে হয়। এর ফলে সঠিক স্পিডের ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়। তবে মাঝেমধ্যে অভিযোগ ওঠে স্লো স্পিডের ইন্টারনেটের জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন প্রোজেক্ট করা থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।

Education portal is being launched for students from 5 th october

 

এই সমস্যার সমাধানের জন্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে এবার প্রত্যেকটি স্কুলে হাই স্পিড ইন্টারনেট বসানোর কাজ শুরু হবে। শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে ওয়েবেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ইন্টারনেট বসানোর কাজ আগামী দু মাসের মধ্যে শেষ করতে। জানা যাচ্ছে ৩৯ মাসের জন্য থাকবে এই ইন্টারনেট কানেকশনগুলো।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর