বাংলাহান্ট ডেস্ক : টোটোর জন্য রাস্তায় তৈরি হচ্ছে যানজট। এছাড়াও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে পরিবহন দপ্তর এর আগেই শুরু করে কড়াকড়ি। রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে টোটো, ই রিকশা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের উপর টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এবার কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রাজ্য পরিবহন দপ্তরকে টোটো নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হল। কলকাতা হাইকোর্ট বসিরহাটের একটি টোটো সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রায় পাঁচ হাজার টোটো রয়েছে বসিরহাট এলাকায়। অনিয়ন্ত্রিত টোটোর ফলে ক্রমাগত বসিরহাট এলাকায় বাড়ছে যানজট ও দুর্ঘটনা।
আরোও পড়ুন : কাতারে কাতারে গাড়ি, বিভৎস জ্যাম সামলাতে নাজেহাল পুলিশ! উপচে পড়া পর্যটকদের ভিড় পাহাড়ে
বসিরহাট পৌরসভা সম্প্রতি টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ পৌরসভাকে দিতে হবে ৫০০০ টাকা করে। এছাড়াও রাস্তায় নতুন গাড়ি নামানোর ক্ষেত্রে আনা হয়েছে একাধিক নিয়ম। ১৪০ জন টোটো চালক পৌরসভার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
আরোও পড়ুন : দেশের ব্যাঙ্কে দাবিহীন পড়ে ৪২ হাজার ৭০০ কোটি! আপনার টাকা আছে? জানুন কী বলছে RBI
আদালতে পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয় টোটোর ফলে ক্রমাগত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বসিরহাটে। এছাড়াও বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা। তাই টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য আনা হয়েছিল নির্দেশিকা। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, পৌরসভার এভাবে নির্দেশিকা জারি করার এক্তিয়ার নেই। এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে হবে পরিবহন দপ্তরকে।
প্রসঙ্গত,বেআইনিভাবে লেদ কারখানা এবং গ্যারেজে লোহার ধাঁচ তৈরি করে মোটর লাগিয়ে বেআইনিভাবে তৈরি করা হচ্ছে টোটো। সরকারের অনুমোদন নেই এই সব কারখানার। তবুও অনেকেই বেআইনিভাবে টোটো তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। এরফলে একদিকে যেমন বাড়ছে বেআইনি টোটোর সংখ্যা, অন্যদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা।