বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার সংক্রমণের জেরে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরেরও বেশী সময় ধরে তালা ঝুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। যার জেরে গতবারের মতো এবারও মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো বাতিল হয়ে যায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও। বিকল্প পদ্ধতিতেই মূল্যায়ণের ব্যবস্থা করেন সংসদ।
২০১৯ সালের মাধ্যমিক, এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল এবং দ্বাদশের প্র্যাকটিক্যাল বা প্রজেক্টেক নম্বরের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরি করা হয়েছে। তবে সেই সাথে জানানো হয়েছে নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের পরীক্ষায় বসতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মাধ্যমিকের পর প্রকাশিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষার্থীদের অনেকেই ১০০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশের আশা করেছিলেন । কিন্তু বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও পাশ করতে পারেননি অনেক পরীক্ষার্থী।যার ফল স্বরূপ রেজাল্ট বেরোনোর পরেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়া ও অভিভাবকরা।
উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়ে শুক্রবার তিলজলার একটি স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন এমনই এক ছাত্রী। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে রীতিমতো আত্মহত্যার হুমকি দিতে শুরু করে সে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, মার্কশিট তৈরির সময় ভুল-ত্রুটি হয়েছে। প্রথমে এই অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকারী রুমানার স্কুল অর্থাৎ কান্দি রাজা মনীন্দ্রচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়। অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীদের নম্বর ঠিক করে দেওয়া হলেও কলা বিভাগের ক্ষেত্রে তা হয়নি। পরে প্রধান শিক্ষিকার হস্তক্ষেপে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অন্য দিকে ওই একই অভিযোগে শিলিগুড়ি বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ছাত্ররা। রেজাল্ট নিতে গিয়ে ছাত্ররা জানতে পারেন মূল্যায়ন রীতি অনুযায়ী প্রায় ২০ থেকে ২৫ নম্বর কম পেয়েছেন তাঁরা।