‘ইচ্ছা হলে মিনিস্কার্ট পরে স্কুলে যাবে?” শিক্ষাঙ্গনকে ধর্ম মুক্ত রাখার পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হিজাব মামলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। শুনানি চলাকালীন মামলাকারীকে বিচারপতি প্রশ্ন করলেন, “ইচ্ছে হলে মিনিস্কার্ট পরেও কি স্কুলে যাবেন?” সুপ্রিম কোর্টের এই অবস্থানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। সুপ্রিম কোর্টের তরফে শুনানি চলাকালীন মন্তব্য করা হয় যে শিক্ষা প্রাঙ্গনে ধর্মকে না ঢোকানোই শ্রেয়।

শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া বলেছেন, “এইখানে কারোর অধিকার হরণের কথা বলা হচ্ছে না। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না শিক্ষার অধিকার। শুধু বলা হচ্ছে নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরে স্কুলে আসতে।” পাশপাশি বেঞ্চের অপর বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত মন্তব্য করেন, “যদি আমরা ধরে নিই স্কুলে হিজাব, স্কার্ফ, বা নিজের পছন্দমত পোশাক পরে যাওয়া যাবে তাহলে ঠিক আছে, কিন্তু যেখানে নির্দিষ্ট পোশাক বা ড্রেস কোড করে দেওয়া আছে সেখানে কি হিজাব পরে যাওয়া যায়?” এরপরই মামলাকারীরা ওড়না পরার বিষয়টি উত্থাপিত করলে বিচারপতি স্পষ্ট স্বরে বলেন যে, “ওড়না আর হিজাবের মধ্যে ফারাক আছে।”

   

হিজাব মামলা নিয়ে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত জানান, “ধর্ম অনুসরণ এর অধিকার অপরিহার্য হতেও পারে আবার নাও হতে পারে । কিন্তু যেভাবে সংবিধানে ভারতবর্ষকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর ধর্মাচারণের ক্ষেত্রে জোর খাটানো যায় কি?” অবশেষে শীর্ষ আদালত জানায় যে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর হবে।

Karnataka Hijab

উল্লেখ্য হিজাব মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় অসন্তুষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে আবেদনকারীরা। পূর্বে কর্ণাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে মুসলিমদের জন্য হিজাব কখনোই বাধ্যতামূলক নয়। তাই প্রত্যেকটি ছাত্রীকে স্কুল বা কলেজের নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরে আসতে হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মামলাকারীরা।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর