পুজোর আগে ইলিশের ছড়াছড়ি! মাছপ্রেমীদের মুখে হাসি, শহরে উৎসবের আমেজ

Published on:

Published on:

Hilsa Fish kolkata is enjoying Hilsa a festive atmosphere is spreading in the city

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এইবছর প্রথম থেকেই ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে ছিল(Hilsa Fish)। তবে প্রথম থেকে সেই চাহিদা মেটানো যাচ্ছিল না। কারণ বৃষ্টি শুরু হতে না হতে ভোজন প্রিয় বাঙালির আশা শুরু হয় রুপোলি শস্যের জন্য। তবে এবার ভোজন রসিকদের জন্য এল বড় সুখবর। উৎসবের মরশুমের আগে পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ তাও আবার কম দামে। তাই এবার মন খুশি করে কিনতে পারবেন রুপোলি শস্য সাধারন মানুষ (Hilsa Fish)।

ইলিশে মজেছে কলকাতা, শহরে বইছে উৎসবের আমেজ (Hilsa Fish)

উৎসবের মরশুম শুরু হওয়ার আগে ওপার বাংলা থেকে ইলিশ এসে না পৌঁছালেও হাওড়ার পাইকারি বাজারে ভরপুর ইলিশ মাছ (Hilsa Fish) পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে মাঝারি থেকে বড় সব রকমের সাইজের রূপলি শস্য রয়েছে বাজারে। অরন্ধন উৎসবের আগে পাইকারি বাজারে এই ইলিশের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এমনকি এই ইলিশের দাম রয়েছে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। হাওড়ার পাইকারি বাজারে ৫০০ গ্রাম থেকে ১.৫ কেজি পর্যন্ত সাইজের রূপলি শস্য পাওয়া যাচ্ছে।

Hilsa Fish kolkata is enjoying Hilsa a festive atmosphere is spreading in the city

আরও পড়ুন: চুমুকেই বদলাবে শরীর! লেবুর জলকে পিছনে ফেলে জনপ্রিয় হচ্ছে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার

তবে বাংলাদেশে ইলিশ হাওড়ার পাইকারি বাজারে আর কিছুদিনের মধ্যেই আসতে চলেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ইলিশ এবার একটু চড়া দামেই বিক্রি হবে বলে মনে করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে মায়ানমার, গুজরাট ও ডায়মন্ড হারবারের ইলিশের চাহিদা রয়েছে হাওড়ার বাজার গুলিতে। তাই রান্না পুজোর বাজারে মায়ানমার ও গুজরাটে ইলিশের রমরমা বাজার চলছে।

এই পুজো উপলক্ষে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। কারণ, রান্না পুজো বা অরন্ধন উৎসবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ইলিশের। বিশ্বকর্মা পুজোর দু একদিন আগে থেকেই তাই হাওড়ার পাইকারি বাজারে এই মাছ বিক্রি হতে শুরু করে। এমনকি অরন্ধন উৎসবের দিনের সকালে ইলিশ মাছের চাহিদা তুঙ্গেই রয়েছে।

এমনকি ৫০০-৭০০ গ্রাম ইলিশের পাইকারি বাজার দাম ৭৫০-৮০০ টাকা প্রতি কেজি। ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশের দাম পড়ছে ১১০০ টাকা কেজি। ১ কেজি ইলিশের দাম পড়ছে প্রায় ১৪০০ টাকা প্রতি কেজি। আর এই প্রসঙ্গে মাছ বাজারে বিক্রেতারা জানান, খোলা বাজারে কিছুটা হল দাম বেশি থাকে। কিন্তু অনেকে মনে করছেন বাংলাদেশী ইলিশের স্বাদ বেশি। তাই বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা এখনো রয়েছে বাজারে। কিন্তু মরশুমে প্রথমে যেরকম ইলিশের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছিল না। সেখানে মায়ানমার ও গুজরাট থেকে ইলিশ মাছ এনে কিছুটা হলেও ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে।