বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইলিশের (Hilsa Fish) প্রতি ভালোবাসা দুই বাংলার মানুষের কাছেই কমবেশি সমান। তবে চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে যেকোনো সময় অতিরিক্ত ইলিশ মাছ ধরায় সমুদ্র নদীতে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। ইলিশের (Hilsa Fish) বংশবিস্তারে সরকার উদ্যোগী হলেও মৎস্যজীবীদের একাংশের জন্য তাতেও বাধা পড়ছে। এমনকি ইলিশ রক্ষা অভিযানে নেমে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটছে নদীর বুকে।
মা ইলিশ (Hilsa Fish) রক্ষায় নদীর বুকে সংঘর্ষ বাংলাদেশে
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মা ইলিশ (Hilsa Fish) রক্ষা অভিযানে বরিশাল এবং ভোলার নদীগুলিতে প্রায় দিনই উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারির মাঝেই নকি জোট বেঁধে অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করছে মৎস্যজীবীদের একাংশ। মা ইলিশ (Hilsa Fish) রক্ষায় প্রশাসন তৎপর হলেও মৎস্যজীবীদের একাংশের ভ্রুক্ষেপ নেই সেদিকে। যদিও জেলেদের একাংশ স্বীকার করছেন যে, কারেন্ট জালের ব্যবহার যদি বন্ধ না করা যায় তবে ইলিশ রক্ষা সম্ভব নয়।
কারেন্ট জালে ইলিশের ক্ষতি: কী এই কারেন্ট জাল? নামেই স্পষ্ট, এই জালের সঙ্গে রয়েছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। এই বিশেষ জাল দিয়ে জলের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে মাছ ধরা হয়। বিদ্যুৎ প্রবাহের জেরে মাছগুলি নিস্তেজ হয়ে পড়ে, ফলে ধরতে সুবিধা হয়। কিন্তু মাছের বংশবৃদ্ধি এবং সামগ্রিক ক্ষতির জন্য অনেক দেশেই এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে জেলেদের একাংশ এই জাল ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ। এদিকে মাছ রক্ষা অভিযানে গিয়ে মৎস্যজীবীদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন : বছর ঘোরার আগেই পড়ল কোপ, স্বস্তিকার মেগাকে জায়গা দিতে অকালে শেষ হচ্ছে জনপ্রিয় সিরিয়াল!
কী অভিযোগ প্রশাসনের: প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাবি, বড় স্পিডবোট এবং যথেষ্ট পরিমাণে লজিস্টিক না থাকায় জেলেদের সমবেত হামলার মুখে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। সফল ভাবে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। এদিকে মৎস্যজীবীদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি সাহায্য সবাই পায় না। কিস্তিতে জাল কিনেছেন, এবার মাছ (Hilsa Fish) না ধরলে টাকা আসবে কোত্থেকে? রিপোর্ট বলছে, মাছ ধরার মরশুমে প্রায় ৭ লক্ষ ৪৩ হাজার জেলে যারা নদীতে মাছ ধরার সঙ্গে যুক্ত, তাদের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার জেলের কোনও সরকারি সহায়তা নেই।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক! শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে আদানির এই কোম্পানির পেনি স্টক
বাংলাদেশে মা ইলিশ রক্ষার্থে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে কোনও যৌথ উদ্যোগ নেই। ওপার বাংলার অনেক জেলে দাবি করেছে, ভারতীয় মৎস্যজীবীরা নাকি সীমান্ত পেরিয়ে ইলিশ ধরছে। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটেনি। অভিযানের প্রথম দশ দিনেই প্রায় ৫৩.৫ মেট্রিক টন ইলিশ বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে খবর।