বাংলাহান্ট ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে, ইলিশের (Hilsa Fish) দাম ততই মাত্রা ছাড়াচ্ছে। পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে যে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যেতে বসেছে এই মাছ। বছরভর অপেক্ষায় থাকার পর বর্ষার মরশুমেও ইলিশ পাতে না পড়ার আক্ষেপ থেকে যাচ্ছে অনেকেরই। তাই এবার যাতে সকলেই ইলিশ (Hilsa Fish) খাওয়ার সুযোগ পায় তার জন্য বড় উদ্যোগ নেওয়া হতে চলেছে।
বাংলাদেশে ইলিশের (Hilsa Fish) দাম আগুন
এপার বাংলা হোক বা ওপার বাংলা, ইলিশের জনপ্রিয়তা এবং দাম দুইই কমবেশি সমান সমান। তবে বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতার তুলনায় বাংলাদেশে ইলিশের (Hilsa Fish) দাম আরও বেশি। বিশেষ করে পদ্মা, মেঘনার ইলিশের দাম মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। তাই এবার দাম নাগালের মধ্যে আনতে ইলিশ (Hilsa Fish) বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনার জন্য মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিবের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন: ও দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম আবেদন করেছেন ইলিশের (Hilsa Fish) মরশুমেও অতিরিক্ত দামের জন্য দেশের মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণি এই মাছ খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত একটি পরিবার সহজেই ইলিশ (Hilsa Fish) কিনে রান্না করে খেতে পারত। কিন্তু বর্তমানে এই মাছের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে তা আমজনতার নাগালের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। এর কারণ মূলত সরকারের থেকে কোনও ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ না করে দেওয়া। ফলত ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম দিয়ে বিক্রি করছে মাছ।
আরও পড়ুন : ‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া’র শাসানি! CU উপাচার্য বনাম TMCP নেতা, কার শিক্ষাগত যোগ্যতা কত?
কী বলা হয়েছে আবেদনে: আবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাজারে ইলিশ (Hilsa Fish) খণ্ড খণ্ড আকারে বিক্রি করার কোনও ব্যবস্থা নেই। এতে মানুষ গোটা মাছ কিনতে বাধ্য হচ্ছে। আর যারা এত দাম দিয়ে কিনতে পারছেন না তাদের খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে। আবেদনে আরও বলা হয়েছে, মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন সরকারি সুবিধা, ভর্তুকি ভোগ করে। কিন্তু ইলিশের (Hilsa Fish) স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আমজনতা। তাই বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশকে (Hilsa Fish) সাধ্যের মধ্যে আনতে কিছু বিষয়ের উপরে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না’, কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে হুঙ্কার মমতার
বাজারে মনিটরিংয়ে জোরদার দেওয়া, ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা, আমজনতার কাছে বিক্রির ব্যাপারে তথ্য প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং সর্বোপরি বাজারে ইলিশ মাছ খণ্ড আকারে বিক্রি বাধ্যতামূলক করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। এতে সবশ্রেণির মানুষের কাছেই ইলিশ সহজলভ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে।