রাতের অন্ধকারে লুঠ ৫ লক্ষ টাকার ইলিশ! বাজারে এসে থ ব্যবসায়ীরা, তারপর যা হল…

Published on:

Published on:

Hilsa Fish worth 5 lakh looted in Shantipur traders face charges

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্ষাকাল মানেই ইলিশের (Hilsa Fish) মরশুম। এই সময়ই রূপোলি শষ্যের স্বাদ সবথেকে বেশি হয়। বাইরে ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে পাতে যদি পড়ে ইলিশের হরেকরকম পদ, তবে আর কী চাই। তবে এই বছর সেই ভাবে রুপোলি শস্যের দেখা নেই। যাও কিছু মাছ দেখা যাচ্ছে তাতে আগুন ছোঁয়া দাম। যার ফলে মন খারাপ ভোজন রসিকদের। এরই মাঝে রাতারাতি বাজার থেকে লুট করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকার ইলিশ। সকালবেলা বাজারে ঝাঁপি খুলতেই ভিন্ডি খেলেন ক্রেতারা। জানা যায় চারিদিকে থার্মোকল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাতে রুই কাতলা কিংবা বাটা মাছ থাকলেও। দেখা নেই ইলিশ মাছের।

নতুনহাট বাজারে রাতের অন্ধকারে লুট ৫ লক্ষের ইলিশ (Hilsa Fish)

চলতি বছরে সেরকম ভাবে ইলিশের (Hilsa Fish) দেখা প্রথম থেকে নেই। তার মাঝে সকালে বাজারে এসে চমকে উঠলেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা। কারণ বাজারের চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে থার্মোকলের বাক্স। সেখানে রুই-কাতলা মাছ থাকলেও। দেখা নেই ইলিশ মাছের (Hilsa Fish)। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরের (Santipur) নতুনহাট পৌর বাজারে। জানা যায় সেখান থেকে লুট করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকার ইলিশ। রবিবার সকালে এই বিষয়টি ব্যবসায়ীদের নজরে আসে। আর্থিক গতির ধাক্কা সামলে সোমবার তারা দারস্ত হন শান্তিপুর পৌরসভা ও থানায়।

জানা যায় রবিবার বাজারে ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। তাই শনিবার নতুন ভাবে ইলিশ ঢুকেছিল বাজারে। প্রতিটি ব্যবসায়ী ওই রাতেই নিজ নিজ স্টলে রাখা থার্মোকলের পেটিতে স্টোর করে রেখে গিয়েছিল সেই ইলিশ গুলিকে। তবে রবিবার সকালে বাজারে এসে দেখতে পান লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে চারিদিক। প্রায় সব ইলিশের পেটেই খালি। এর ফলে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বিক্রেতাদের।

 Hilsa Fish worth 5 lakh looted in Shantipur traders face charges

আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চান? ব্রেকফাস্টের আগে খান ঘরোয়া এই পানীয়গুলো,রইল টিপস

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শনিবার রাত্রে বেলায় যেখানে পেটি ভরে ইলিশ মাছগুলো রাখা হয়েছিল। রবিবার সকালে এসে দেখা যায় সেই পেটিগুলোর মধ্যে লন্ডভন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি সব ইলিশের পেটি খালি। এমনকি এখনো পর্যন্ত ইলিশ (Hilsa) ভর্তি কয়েকটি পেটির হদিশ মেলেনি। এই বিষয়ের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান বাজারে একটু ধার করেই বেশি মাছ তুলেছিলাম। এক থেকে দেড় কিলো সাইজের ইলিশ ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ষাট হাজার টাকা দাম হবে। সকালবেলা এসে দেখি, সব মাছ কেউ বা কারা নিয়ে চলে গিয়েছে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিপুর (Santipur) পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান, নাইট গার্ডে যারা ছিলেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। সে বিষয় স্পষ্ট। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার তদন্ত খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ গুলি দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।