বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের কারনে ইলিশ (hilsa) ধরবার প্রথম মরশুমে ইলিশ আহরণে যেতে পারেন নি মৎস্যজীবিরা। কিন্তু জুলাই মাসের শেষ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বেশ বড় মাপের ইলিশ পড়ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) জেলেদের জালে। কিন্তু দুই দেশের রাজনীতির ফাঁসে তা পাতে পড়ছে না এপার বাংলার মানুষের।
তিস্তার জলবন্টন নিয়ে সমস্যার জেরে বাংলাদেশ সরকার তাদের জাতীয় সম্পদ ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছে এদেশে। যার ফলে পদ্মার ইলিশের অপূর্ব স্বাদ থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। পদ্মার ইলিশ চেখে দেখার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছে সাধারণ মানুষ।
গতবছর পুজোর আগে শেষ ইলিশ এসেছিল বাংলাদেশ থেকে। তারপর থেকে বন্ধ রপ্তানি। বাংলাদেশে সামুদ্রিক মাছের পাইকারি বাজার পটুয়াখালী মহিপুরে টন টন ইলিশ মজুত করা হচ্ছে । ৩০ থেকে ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১ কিলো ইলিশের প্রতি মণ৷ প্রচুর পরিমানে উঠেছে আরো অনেক সামুদ্রিক মাছ । যার ফলে লকডাউনে ধুঁকতে থাকা সেদেশের মৎস্যজীবিরা কিছুটা লাভের মুখ দেখতে চলেছেন।
অন্যদিকে, ঘূর্ণাবর্ত এর জেরে মৎস্যজীবিদের ফের একবার সমুদ্র থেকে ফিরে আসার উপদেশ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ১৫ জুন মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর রীতিমতো আশা নিয়ে ইলিশ আনতে সমুদ্রে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। কিছু ট্রলার ফিরে এসেছিল বেশ ভাল পরিমাণ ইলিশ নিয়ে। তাতে আরও আশার আলো দেখা গিয়েছিল মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কিন্তু বারবার খারাপ আবহাওয়ার কারনে তা ভেস্তে যাচ্ছে।
পাশাপাশি ভারত জুড়ে বেড়েছে ডিজেলের দাম৷ যার কারনে বেশিক্ষণ ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে থাকতে পারছেন না। ফলে ইলিশ আহরণেও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।