বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অসমে (Assam) রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত সমস্ত মাদ্রাসা (madrassa) গুলোকে স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অসমের শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি জানিয়েছেন যে, আমরা রাজ্যের মাদ্রাসা বোর্ড ভেঙে দেব। এবং রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত সমস্ত মাদ্রাসা গুলোকে স্কুলে পরিণত করব।” এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যের সরকারি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার পর শিক্ষকদের যোগ্যতা অনুযায়ী স্কুল গুলোতে নিযুক্ত করা হবে।
তিনি শনিবার জানান যে, রাজ্যের বেসরকারি মাদ্রাসা গুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই আমাদের। তবে আমরা বেসরকারি মাদ্রাসা গুলোকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনব। তিনি জানান, রাজ্যের বেসরকারি মাদ্রাসা গুলোতে বিজ্ঞান ও অঙ্ক পড়ানো বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং রাজ্যের সাথে যুক্ত থাকতে হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের বেসরকারি মাদ্রাসা গুলো যদি সাংবিধানিক নির্দেশ মেনে চলে, তাহলেই সেগুলোকে চলতে দেওয়া হবে নচেৎ না।
এর আগে অসমের শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা কুরআন পড়ানো নিয়ে বড় বয়ান দেন। তিনি বলেন, সরকারি টাকায় কুরআন পড়ানো হবে না। এর সাথে সাথে তিনি বলেন, যদি সরকারি টাকায় কোরআন পড়ানো যেতে পারে তাহলে গীতা আর বাইবেল কেন পড়ানো হবে না? হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আমার হিসেবে সরকারি টাকায় কোরআন পড়ানো সম্ভব নয়। যদি আমরা এমন করি, তাহলে আমাদের বাইবেল আর গীতা দুটোকেই সরকারি টাকায় পড়ানো উচিৎ। উনি বলেন, আমরা শিক্ষায় অভিন্নতা আনতে এবং এই প্রথা বন্ধ করতে চাই।
এর আগে শর্মা রাজ্যে বেড়ে চলা লাভ জিহাদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, অনেক মুসলিম ছেলে ফেসবুকে হিন্দু নামের আইডি বানায় আর মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। আর এই করে তাঁরা হিন্দু মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তাঁদের বিয়ে করে। বিয়ের পর জানা যায় যে, হিন্দু মেয়েটা না জেনেশুনে অনেক বড় ভুল করেছে। তিনি বলেন, এটা কোনও বিয়ে না, এটা সম্পূর্ণ জালিয়াতি মামলা।
উনি বলেন, রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আমরা এটা দেখার চেষ্টা করব যে, কোনও হিন্দু মেয়েকে যেন ওঁরা স্পর্শ না করতে পারে। উনি এই নিয়ে কড়া আইন আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।